
বিশেষ প্রতিনিধি :
দুই লাখ টাকা যৌতুক আদায়ে ব্যর্থ হয়ে স্ত্রীকে ভারতে পাচার করে দিয়েছে এক পাষন্ড স্বামী । পুলিশ স্বামী আল আমিনকে আটক করলেও তার স্ত্রী জাহেদা খাতুনকে উদ্ধার করতে পারেনি । এ ঘটনার সাথে জড়িত পাচারকারী লিটন তার বাড়ি সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্তের বাগডাঙ্গা থেকে পালিয়ে ভারতে রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ ।
সাতক্ষীরার মাছখোলা গ্রামের জাহেদা খাতুনের ভাই মো. মফিজউদ্দিন জানান, মাস দেড়েক আগে তার বোনের সাথে বিয়ে হয়েছিল তালা উপজেলার পাটকেলঘাটার পাঁচপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমান গাজির ছেলে আল আমিনের । বিয়ের কিছুদিন পর থেকে আল আমিন , তার পরিবার এবং বোনজামাই দুধলি গ্রামের মজিদ গাজি তাদের কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল । কিন্তু এতো টাকা তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন মফিজ । এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ লেগেই ছিল । গত সোমবার জাহেদাকে তার বাবার বাড়ি রেখে যায় আল আমিন ।
মফিজ জানান, এর একদিন পর মঙ্গলবার দুপুরে আল আমিন সাতক্ষীরায় এসে জাহেদাকে শহরের নারকেলতলায় টেলিফোন করে ডেকে নেয় । এরপর সে ও তার দুই বন্ধু জাহেদাকে নিয়ে চলে যায় সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্তের বাগডাঙ্গা গ্রামে । ওই দিন সন্ধ্যায় জাহেদাকে ভারতে পাচার করে লিটন ও তার আরেক অজ্ঞাত পরিচয় বন্ধু । লিটন সেই থেকে ভারতে রয়েছে । অপরদিকে এ খবর পেয়ে মফিজ তার আত্মীয় স্বজন তার বোন জামাই আল আমিনকে ধরে নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে ।
আল আমিন পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে তার স্ত্রীকে লিটন ও তার বন্ধু ভারতে নিয়ে গেছে । লিটন সাতক্ষীরা সীমান্তের একজন মানবপাচারকারী ও চোরাকারবারী বলে পরিচিত । সে প্রায়ই মানবপাচার করে থাকে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।
সাতক্ষীরার পুরান সাতক্ষীরা পুলিশ ক্যাম্পের সহকারি পরিদর্শক ( এসআই) সেলিম রেজা জানান ‘ আল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে । সে তার স্ত্রী জাহেদাকে পাচারের বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য দিয়েছে । দুই লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে সে তার স্ত্রীকে দুই বন্ধুর হাতে তুলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে ’ ।