সাতক্ষীরায় নিখোঁজ বোনের সন্ধান চেয়ে ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন


478 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
সাতক্ষীরায় নিখোঁজ বোনের সন্ধান চেয়ে ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন
মার্চ ২১, ২০১৮ ফটো গ্যালারি সাতক্ষীরা সদর
Print Friendly, PDF & Email

স্টাফ রিপোর্টার ::
শ্যামনগরে স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়া বোনের সন্ধান চেয়ে মঙ্গলবার বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার ভাই কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণশ্রীপুর গ্রামের মোঃ আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ আল আমিন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রায় ১১ বছর আগে শ্যামনগর উপজেলার কাটিবাল হল (খানপুর) এলাকার আকছেদ আলীর ছেলে আফজাল হোসেনের সাথে আমার সেঝ বোন সাহিদা খাতুনের ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আফজাল খুটিনাটি বিষয় নিয়ে আমার বোন সাহিদাকে মারপিটসহ মানুষিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। এভাবে ৩/৪ বছর চলার পর এক পর্যায় সহ্য করতে না পেরে বোন বিষয়টি আমাদের জানালে স্থানীয়ভাবে পর পর চারবার শালিশী বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংশা করা হয়। শেষ বার এক শালিশী বৈঠকে তাকে আর ওই ঘরে দিতে না চাইলে স্থানীয় মহিলা মেম্বর মিরা নিজ দায়িত্বে আমার বোনকে তার স্বামী আফজাল হোসেনের ঘরে পাঠায়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারো অঅগের মতোই নির্যাতন চালাতে থাকে তার স্বামী আফজাল।


তিনি আরো বলেন, বিয়ের বেশ কয়েক বছর পর আমার জানতে পারি আফজাল মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। এদিকে বোনের দু’টি সন্তান থাকায় আমরা কোন পদক্ষেপ নিতে পারিনি। সম্প্রতি আমার বোন প্রায়ই বলতো যে, আফজাল রাতে নেশা করে বাড়ি ফিরে তাকে বেধড়ক মারপিট করছে। যা তার পক্ষে আর সহ্য করা সম্ভব হচ্ছে না। এমতবস্তায় গত ১৬ মার্চ আফজাল মোবাইল ফোনে জানায় যে, আমার বোনকে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এঘটনায় বোনের শ্বশুর শ্যামনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সেখানে আমার বোন সম্পর্কে আপত্তিকর কথা বলা হয়েছে। আমাদের ধারনা মাদকাসক্ত আফজাল আমার বোনকে মারপিট করে হত্যার পর লাশ গুম করে এখন মিথ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এঘটনার পর আফজাল তার মোবাইল বন্ধ করে রেখেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এবিষয় নিয়ে আমরা পরপর তিনবার শ্যামনগর থানায় গেলেও পুলিশ আমাদের অভিযোগ গ্রহণ করেনি। অথচ ৫ দিন ধরে আমার বোন নিখোজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারের ব্যাপারে আমাদেরকে সাহায্য করা হচ্ছে না। তিনি নিঁেখাজ বোনের সন্ধানের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

##