সাতক্ষীরায় পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে ইচ্ছে মত লাগানো হচ্ছে ব্যানার-ফেস্টুন-বিলবোর্ড


1675 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
সাতক্ষীরায় পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে ইচ্ছে মত লাগানো হচ্ছে ব্যানার-ফেস্টুন-বিলবোর্ড
মার্চ ১৫, ২০১৮ ফটো গ্যালারি সাতক্ষীরা সদর
Print Friendly, PDF & Email

রাহাত রাজা ::
গাছের যে প্রাণ আছে, শত বছর আগে বিজ্ঞানী জগদীশ তা প্রমাণ করে গেলেও বিজ্ঞাপনদাতারা তা ভুলে গেছেন । আইন করে নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও দেদারছে চলছে পেরেক ঠোকাঠুকি ব্যাানার,ফেষ্টুন ও বিলবোর্ড ঝুলানো অসপ্রতিযোগিতা ।অথচ কাজটাকে নিষিদ্ধ করে ‘দেওয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন’ নামে ২০১২ সালে জাতীয় সংসদে পাস হয়েছিল একটি আইন। সেই আইনের কোন ধরনের প্রয়োগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। যে যার মতো গাছে গাছে ঝুলাচ্ছে ব্যাানার,ফেষ্টুন ও বিলবোর্ড। কিন্তু দেখবে কে ?

পরিবেশের সবচেয়ে বড় বন্ধু গাছ। কিন্তু, সাতক্ষীরা শহরের গাছে গাছে পেরেক ঠুকে লাগানো হয়েছে ব্যানার, ফেস্টুন। এতে নষ্ট হচ্ছে শহরের সৌন্দর্য। সাতক্ষীরা শহরের রকসি সিনেমা হলের বিপরিতে রাস্তার অর্ধেকের ও বেশি যায়গা দখল করেছে লাক্র এর বিজ্ঞাপন টি শধু তাই নয় নিউ মার্কেট তো চেনার উপাই নেই এদিকে জর্জ কোর্ট এলাকার ভিতরে গাছে গাছে পেরেক ঠুকে মারা হয়েছে বিভিন্ন হারবাল কম্পানির বিজ্ঞাপন এছাড়া রাস্তার ধারে গাছে এমন ভাবে হারবাল কম্পানি গুলো বিজ্ঞাপন লাগিয়ে রাখে দেখলে মনে হয় পুরা শহর বাসি যৌন রোগে অক্রান্ত।

শুধু তাই নয় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শহর থেকে বেরিয়ে,উপজেলা গুলোতে ডোকার প্রধান প্রধান রাস্তার ধারে গাছে পেরেক ঠুকে নেতারা চালাচ্ছে নির্বাচনী প্রচারনা।

শহরের সৌন্দর্য ও গাছ রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবি যানিয়েছেন শহরের সচেতন নাগরিক গন।

এব্যাপারে কৃষিবিদ আমজাদ হোসেন বলেন পেরেকের কারণে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। কমে যায় উৎপাদন। এর ফলে গাছ মারা যেতে পারে এটাকে এখনি যদি বন্ধ করা না যায় তবে ভবিষৎতে শহরের পরিবেশ তার ভারসাম্য হারাবে।
পেরেক লাগানোর কারণে গাছের গায়ে যে ছিদ্র হয় তা দিয়ে পানি ও এর সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও অণুজীব ঢোকে। এতে গাছের ওই জায়গায় দ্রুত পচন ধরে। ফলে তার খাদ্য ও পানি শোষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।

তিনি বলেন, শক্তিশালী মনিটরিংয়ের অভাবে এ ধরনের পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের প্রবণতা আছে। স্ব-উদ্যোগে কোনও কোনও সংগঠন এই সাইনবোর্ডগুলো নামানোর পর আবারও একই অব্স্থা দাঁড়ায়। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে শক্তিশালী মনিটরিং টিম গঠন করে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো উচিত।