
স্টাফ রিপোর্টার :
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সমবায় অফিসার শফিকুল ইসলামের ছেলে আবু নাসের জজ (২৫) এর বিরুদ্ধে পর্ণ ভিডিও তৈরির অভিযোগ উঠেছে। ভিডিওটি ইতিমধ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভাইরাস আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সদর উপজেলা সমবায় অফিসার ছেলেকে রক্ষা করতে বিভিন্নভাবে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন বলে জানাগেছে। এ ঘটনায় জড়িত জজকে গ্রেফতারের দাবি সচেতন মহলের।
জানাগেছে, প্রেমিকাকে বিয়ের আশ্বাসে তার সাথে দৈহিক সম্পর্কের নগ্ন ভিডিও চিত্র তৈরি করে আবু নাসের জজ। পরবর্তীতে সেই ভিডিও চিত্রটি খুলনায় নিয়ে এডিটিং করে সে। এরপর বিষয়টি জানা জানি হয়। ভিডিও চিত্রটি ভাইরাস আকারে মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে, আবু নাসের জজের পিতা সাতক্সীরা সদর সমবায় অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি অনেক দিন আগে থেকেই ঘটছে। সাতক্ষীরা শহরের জনৈক আলতাফ নামের এক ব্যক্তির কন্যার সাথে তার ছেলে জজের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জজের বান্ধবি হিসেবে ওই মেয়েটি তার পুরাতন সাতক্ষীরার বাড়িতে যাতায়াত করতো। শফিকুল ইসলাম আরো জানান, তার স্ত্রী মনজুয়ারা বেগম সদর উপজেলার কুলতিয়া সরকারি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকা। প্রতিদিন সকালে তিনি ও তার স্ত্রী যে যার অফিসে চলে যান। বাড়ি থাকে ফাঁকা। এই সুযোগে তারা দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর উভয় পক্ষে অভিভাবক পর্যায়ে বসাবসি হয়। এক পর্যায়ে খুলনার এক আতœীয় তাদের বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এতে শফিকুল ইসলাম ও তার পক্ষের লোকজন অসম্মতিজ্ঞাপন করেন। শেষে ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করে ছেলে জজকে পাঠিয়ে দেন লন্ডনে। কিছুদিন লন্ডনে থাকার পর সেখান থেকে দেশে ফিরে আসে জজ। এরপর সে কখনো চট্টগ্রাম আবার কখনো বাড়িতে থাকে। সমবায় অফিসার শফিকুল ইসলাম আরো বলেন, মেয়ের পিতা ও একজন সরকারি চাকুরিজীবী। মেয়ের বাবা খুলনা মডেল থানায় এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন বলে জানান শফিকুল ইসলাম।তিনি বলেন, ঘটনাটি উভয় পরিবারের মধ্যে আপোষ করা হয়েছে। গত ঈদের সপ্তাহ খানেক আগে খুলনার ওই স্টুডিও থেকে মাসুদ নামক এক ব্যক্তি ভিডিওটি সংগ্রহ করে তা ছড়িয়ে দিয়েচে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, গত ঈদের সপ্তাহ খানেক আগে আবু নাসের জজ ভিডিওটি এডিটিং করতে খুলনায় যায়। এডিটিং করে ফিরে আসার পর তা মোবাইলে ছড়িয়ে দিয়েছে সে। এতে করে মেয়েটি সাতক্ষীরা ছেড়ে ঢাকায় চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে নগ্ন ছবি মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ায় ওই মেয়ের পরিবার ভয়ে মুখ খুলছে না। সচেতন মহল এ ব্যাপারে আবু নাসের জজও তার পিতা মাতাকে গ্রেপ্তার পূর্বক আইনে সোপর্দ করার দাবি জানিয়েছেন।