সাতক্ষীরায় পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারের দাবিতে এক ব্যক্তির সংবাদ সম্মেলন


1154 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
সাতক্ষীরায় পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারের দাবিতে এক ব্যক্তির সংবাদ সম্মেলন
মার্চ ২৪, ২০১৮ ফটো গ্যালারি সাতক্ষীরা সদর
Print Friendly, PDF & Email

স্টাফ রিপোর্টার ::
সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুর এলাকার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কর্র্তৃক অবৈধভাবে এক ব্যক্তির পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন রসুলপুর (মেহেদীবাগে) এলাকার মৃত. আব্দুল খালেক এর ছেলে মোঃ রাজু বাবু।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার পিতা মৃত্যুর পূর্বে রসুলপুর মৌজার ৪১৯/১৫ খতিয়ানের ১২১৯ ও ১২৩০ দাগের ৫৫ শতক জমির মধ্যে ১১ শতক জমি ক্রয় করেন। ওই জমিতে পাকা ঘরবাড়ি নির্মাণ করে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ভোগদখলে থাকা অবস্থায় আমার পিতা উক্ত জমির মধ্য হতে বাড়িসহ ৬ শতক জমি আমার নামে রেকর্ড করে দেন। এর পর থেকে ওই বাড়িতে আমি শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি। পিতার মৃত্যুর পর কুশখালী এলাকার মৃত. ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদের ছেলে তরিকুল, শফিকুল ও শরিফুল মেহেদীবাগ এলাকার বাসিন্দা তালার খেশরা ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল মুকিত ও স্থানীয় আব্দুল মুজিদের সহযোগিতায় উক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করার জন্য পায়তারা শুরু করে। এক পর্যায় গত ২১ মার্চ আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে তরিকুল, শফিকুল, শরিফুল, ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল মুকিত ও আব্দুল মুজিদ ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে আমার বসতবাড়িতে প্রবেশ করে ভাংচুর করে পাচিল তুলে চারিদিক ঘিরে ফেলে। এসময় সেখানে অবস্থানকারী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে আব্দুল মান্নান প্রতিবাদ করলে তারা শোনেনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এঘটনার পর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে সদর থানায় গিয়ে পুলিশি সহায়তা চাইলেও পুলিশ তাদের সহযোগিতা দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। থানা থেকে বাড়ি ফিরে গেলে তরিকুল গংরা বাবা ও ছেলেকে মারপিট করে জোরপূর্বক আমার বসত বাড়িতে তালা লাগিয়ে তাদের বের করে দেন। গত ২৩ মার্চ রাত থেকে তারা আমার পিতার নির্মিত পাকাবাড়ি ভাংচুর শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তারা একটি টিন সেডের বাড়ি প্রায় ভেঙ্গে ফেলেছে। এক্ষুনি তাদের রুখতে না পারলে তারা আমার পিতার শেষ স্মৃতিটুকুও ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেবে।
তিনি আরো বলেন, ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদের ছেলেরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয়ে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। বিগত ২০১৬ সালের ১৭ অক্টোবর জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আবু বকর সিদ্দিক, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাসানুল ইসলাম, ডেপুটি কমান্ডার শফিক আহমেদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। মন্ত্রী পরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নীতিমালা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। অথচ ওই ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের দাপটে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকার সাধারণ মানুষ। তিনি পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের সাথে জড়িত ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার ছেলে ও দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মর্তাসহ অন্যান্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একই সাথে বসতবাড়ি উদ্ধারে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

##