
স্টাফ রিপোর্টার ::
সাতক্ষীরায় মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময় সদর সাব-রেজিস্টারকে ম্যানেজ করে ভূয়া দলিল সৃষ্টির মাধ্যমে একটি স্বার্থন্বেষী গোষ্টি কর্তৃক অবৈধভাবে এক পরিবারের রেকডীয় পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শহরের পলাশপোল এলাকায় বসবাসকারি আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে মোঃ শাহিন ইকবাল। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভা মৌজার এসএ-৫৬৭ ও ১৬২৭ খতিয়ানের ২৪৭১, ২৪৭২ ও ২৪৭৩ দাগে ৩ একর ৩৭ শতক জমি পৈত্রিক সূত্রে মালিক রহিম বক্স এর তিন ছেলে আমার চাচাতো ভাই জহুরুল আমিন, রুহুল আমিন ও দিদার বক্স। রুহুল আমিন জীবিত থাকা অবস্থায় তার ভাগের সম্পত্তি নজরুল হক, নূরুল হক ও মোজাহারুল হকের নামে রেকড করে দেন। রুহুল আমিনের মৃত্যুর পর তার তিন সন্তান ওই সম্পত্তি দাবি করে হাই কমিশনারের মাধ্যমে সদর উপজেলার পদ্মশাখরা গ্রামের শাহীন সরদারের নামে পাওয়ার এ্যার্টানী করে দেন। নজরুল হক দিং উক্ত সম্পত্তিতে ভোগদখলে ছিল ও থাকবে মর্মে শাহীন সরদারের সাথে মৌখিক আপোষে হয়। পরবর্তীতে উক্ত সম্পত্তির সার্বিক দেখাশোনার জন্য সকলে মিলে কোর্টর মাধ্যমে আমাকে দায়িত্ব দেন। সে অনুযায়ী ২০১৪ সাল থেকে ওই সম্পত্তি আমি দেখাশোনা করে আসছি। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি বুধহাটা এলাকার মৃত মাদার সরদারের স্ত্রী জবেদা খাতুন ও সদরের মাছখোলা গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ উক্ত সম্পত্তি নিজেদের দাবি করেন এবং আদালতে একটি ভূয়া সোলেনামা দেখিয়ে ২৯২ নং একটি জাল আমমোক্তারনামা দলিল করেন। তারা ওই সম্পত্তি অবৈধভাবে মুন্সিপাড়া এলাকার বাবুল গাজীর ছেলে সালাম গাজীর নামে একটি ভূয়া পাওয়ার এ্যার্টানী করে দেন। পরে সালাম গাজী মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময় সদর সাব-রেজিস্টার লুৎফার রহমানকে ম্যানেজ করে ওই ভূয়া এ্যার্টানীর বুনিয়াদে আলীপুর চাপারডাঙ্গি এলাকার মোশরাফ হোসেনের ছেলে জাহিদুর রহমান, বাগানবাড়ি এলাকার আলাউদ্দিনের স্ত্রী শাহনাজ বেগম, সদর থানায় কর্মরত দরগাহপুর এলাকার এসআই হুমায়ন কবিরের স্ত্রী নাজমা খাতুন ও পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার মৃত হেকিম আব্দুল হাকিমের ছেলে রিয়াসাত আলীর নামে পৃথক চারটি ভূয়া দলিল করেন। এর মধ্যে গত ৯/১/১৮ তারিখে ৩১৯ নং, ৪/২/১৮ তাং এ ১১৪৫ ও ১১৪৬ নং এবং ১৯/২/১৮ তারিখে ১৫৮৩ নং দলিল। তিনি অভিযোগ করে বলেন, উক্ত ভূয়া দলিল বুনিয়াদে এসআই হুমায়ন কবিরের নেতৃত্বে গত কয়েকদিন আগে একটি সংঘবদ্ধ দল ওই সম্পত্তি দখলের জন্য ঘেরাবেড়া দেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় আমি বাধা দিলে তারা আমাকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করে এবং পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তারা সদর সাব রেজিস্টারকে মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে ম্যানেজ করে চারটি জাল দলিল সৃষ্টি করেছে। ফলে লোভের বশবর্তী হয়ে একটি স্বর্থন্বেষী মহল আমার চাচাতো ভাইদের পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি উল্লেখিত ব্যক্তিদের হাত থেকে চাচাতো ভাইদের পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা ও জাল দলিল সৃষ্টিকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
##