
স্টাফ রিপোর্টার :
পৈত্রিক সম্পত্তি এবং বসতবাড়ি রক্ষা ও হয়রানি থেকে মুক্তির দাবিতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের নলকুড়া গ্রামের শেখ আব্দুল বারী। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই দাবি জানান। এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, লাবসা মৌজার এসএ ২৬৮ খতিয়ানের ১৪৭২ দাগে ৭৩ শতক সম্পত্তির রেকর্ডীয় মালিক ছিলেন দেবনগরের আলী বকস গাজী। যা তিনি মুন্সী কুরবার উল্লাহ’র নিকট হতে জমা বন্দোবস্ত নিয়ে ভোগ করছিলেন। পরে বিক্রি করলে আমার পিতা মৃত শেখ আব্দুল কুদ্দুস তৎকালীন বাজারের সর্বোচ্চ পণ দিয়ে গত ১৫/০২/৬০ তারিখে খরিদ করেন। তার মৃত্যুর পর ওই জমি আমার মাতা রহিমা খাতুন, আমার ভাই আব্দুস সোবহান, আব্দুর রশিদ, আব্দুল বারী, আমার বোন ফজিলা খাতুন, ফরিদা খাতুন, শহিদা খাতুন ও রাশিদা খাতুন ওয়ারেশ সূত্রে পান। অতঃপর উক্ত সম্পত্তি আমাদের নামে মিস কেস ৪২১/৮২-৮৩ নং নামপত্তন কেসে নিজ নিজ নামে নাম পত্তন পূর্বক মালেক সরদারের করাদি আদায়ে ও দাখিলাদি প্রাপ্তে উক্ত সম্পত্তিতে নির্মিত বাড়ি-ঘরে শান্তিপূর্ণভাবে থাকাকালে আমি ছোট ভাই বিধায় তারা উক্ত সম্পত্তি বাড়ি-ঘর কোবলা দলিলমূলে আমার নিকট বিক্রয় করেন। অতঃপর উক্ত সম্পত্তি বর্তমান জরিপে আমার নামে বুঝরত ২১৮৭ খতিয়ান ও ডিপি ২০০ রেকর্ড হয়েছে। উক্ত রেকর্ডের বিরুদ্ধে শাহানারা খাতুন আপত্তি দাখিল করলে আদালত তাদের কোন কাগজপত্র না থাকায় আপত্তি নামঞ্জুর করে। এরপর তারা মামলা করলেও আদালত তা খারিজ করে দেয়। পরে ১৪৫ ধারায় পিটিশন মামলা করলেও প্রমাণ না করতে পারায় তাও খারিজ হয়ে যায়।
আমাদের দখলে থাকা ৫৬ বছরের পৈত্রিক সম্পত্তি জবরদখলের লক্ষ্যে শাহানারা খাতুন একের পর এক মামলা করে হুমকি দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, সে আমাদের দু’জন আইনজীবী যথাক্রমে তামিম আহমেদ সোহাগ ও সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য সরবরাহ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি পৈত্রিক সম্পত্তি এবং বসতবাড়ি রক্ষা ও হয়রানি থেকে মুক্তির দাবিতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ##