
স্টাফ রিপোর্টার :
সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৮ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে কর্মরত বিজিবি সদস্য ইছানুর বিশ্বাস ডিবি পুলিশকে ব্যবহার করে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে তিনি ওই ব্যবসায়ীকে ডিবি পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে নেয়ার হুমকি দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন জেলার তালা উপজেলার ঘোনা গ্রামের গিয়াসউদ্দিন গাজীর ছেলে সেলিম উদ্দিন গাজী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সেলিম গাজী বলেন, সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৮ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে কর্মরত বিজিবি সদস্য তালা উপজেলার ঘোনা গ্রামের ইয়াছিন বিশ্বাসের ছেলে ইছানুর বিশ্বাস তাদের প্রতিবেশী। সাতক্ষীরা কাস্টমস গোডাউন থেকে নিলামে একটি মটর সাইকেল কিনে দেয়ার কথা বলে গত ১৭ জুলাই ইছানুর সাতক্ষীরা বিজিবি সদর দপ্তর সংলগ্ন তার ভাড়া বাড়িতে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। ইছানুরের বাসায় যাওয়ার পর না পেয়ে মোবাইলে রিং করলে সে ৩০ হাজার টাকা তার স্ত্রীর কাছে রেখে বাকী ১০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে শহরের আমতলা মোড়ে আসতে বলে। এসময় ইছানুরের পাঠানো অপরিচিত এক ব্যক্তির মটর সাইকেলে আমতলা মোড়ে পৌছালে চোরাই মটর সাইকেল ক্রয় করতে আসার মিথ্যে অভিযোগে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে। এসময় তার কাছে থাকা ১০ হাজার ৬৮০ টাকা নিয়ে নেয়। সন্ধ্যার পর ইছানুর ডিবি অফিসে এসে ঘটনা কাউকে না জানানোর কথা বলে বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা আনতে বলে। টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় ডিবি পুলিশ বিভিন্ন মামলায় আটক দেখিয়ে তাকে কোর্টে চালান দেয়ার হুমকি দেয়। একপর্যায় ইছানুরের স্ত্রীর কাছে রেখে আসা ৩০ হাজার টাকা দিলে ডিবি অফিস থেকে তাকে ছাড়িয়ে নেয়ার প্রস্তাব দেয় সে। কোন উপায়ন্ত না দেখে তার প্রস্তাবে রাজী হলে পর দিন সকালে ইছানুর এসে ডিবি অফিস থেকে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরে এঘটনার প্রতিবাদ করায় বিজিবি সদস্য ইছানুর ও ডিবি পুলিশের এস আই লুৎফার তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে তাদের ভয়ে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সেলিম গাজী অভিযোগ করে বলেন, বিজিবি সদস্য হিসাবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ইছানুর চোরাই মটর সাইকেল বিক্রির সাথে জড়িত রয়েছে। ইতিপূর্বে এলাকার একাধিক ব্যক্তির কাছে সে ভারতীয় চোরাই মটর সাইকেল বিক্রি করেছে। নিজের জেলায় কর্মরত থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সে এলাকার সাধারন মানুষের কাছ থেকে অবৈধ সুযোগ সুবিধা নিয়ে আসছে। পুলিশ ও বিজিবিতে চাকুরী দেয়ার নাম করে এলাকার বহু বেকার যুবকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ইছানুর রহমান। এছাড়া চাকুরি বিধি বর্হিভূত ভাবে বিয়ের তথ্য গোপন করে বিজিবিতে যোগদান করে। তিনি তদন্ত করে বিজিবি সদস্য ইছানুর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিজি বিজিবিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।