
নাজমুল আলম মুন্না,সাতক্ষীরা ::
“নারী ও বালিকাদের ক্ষমতায়ন, হোক না তারা অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সোমবার সকাল ৯ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের আয়োজনে এবং উন্নয়ন সংগঠন বরসা, নবজীবন, ডিআরআরএ, আরা,সিডো, ঋশিল্পি, সাতক্ষীরা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, সুইড খাতিমুন্নেছা হানিফ লস্কর প্রতিবন্ধী স্কুল, ক্রিসেন্ট, উষা, প্রতিবন্ধী পুর্নবাসন কল্যাণ সমিতি, এনজেড ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরার অংশগ্রহণে এবং সহযোগিতায় ১১তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০১৮ উপলক্ষ্যে রেলি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রেলিতে অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব প্রদান করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ ইফতেখার হোসেন।
রেলি পরবর্তীতে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক দেবাশিস সরদার। সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ হারুন অর রশিদ। প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কনসালট্যান্ট (ফিজিওথেরাপী) ডাঃ এস,এম হাবিবুর রহমান। জেলা প্রতিবন্ধী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান অটিজমের কারন, ধরন, বৈশিষ্ট্য, চিকিৎসা এবং করনীয় বিষয় সম্পর্কে জনসচেতনতা মূলক ভিডিও প্রজেক্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রতিবন্ধী পুর্নবাসন কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সিডোর নির্বাহী পরিচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস, বরসা’র সহকারী পরিচালক মো: নাজমুল আলম মুন্না, সুইড খাতিমুন্নেছা হানিফ লস্কর প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষক এম,রফিক, এনজেড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো: মন্জুর হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসার মিজানুর রহমান ও বাংলাদেশ সমাজসেবা কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো: মিজানুর রহমান সহ শতাধিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধী ও অটিজম শিশু ও বৃদ্ধ। বক্তারা বলেন অটিজম কোন রোগ নয় তাদেরও অনেক প্রতিভাবান আছে। পৃথিবীতে অনেক বড় বড় বিঞ্জানীদের মধ্যে অনেকেই এই অটিজমে আক্রান্ত ছিলেন যেমনঃ আইনস্টাইন ও শারিরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন স্টিফেন হকিন্স। অতএব অটিজম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সুইড খাতিমুন্নেছা হানিফ লস্কর প্রতিবন্ধী স্কুল ও সিডো সংস্থার প্রতিবন্ধী শিশুরা নৃত্য, গান পরিবেশন ও কবিতা আবৃত্তি করে এবং তাদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।