
বিশেষ প্রতিনিধি :
মোটর সাইকেলের লাইসেন্সের জন্য ব্রাক ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। আগের রাত দুইটা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে সিরিয়াল অনুযায়ী পরদিন বিকালেও টাকা জমা দিতে পারছেন না তারা। দিনভর লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে বিকালে তারা ফিরে যাচ্ছেন। এভাবে জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে পরপর দুই তিনদিন এসেও টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা।
লাইনে দাঁড়ানো টাকা জমাদানে আগ্রহীরা জানান একটি দালাল চক্র নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ১০ জন করে ভেতরে ঢুকিয়ে তাদের টাকা জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করছে। এই চক্রটির হাতে টাকা দিলে খুব সহজেই ব্যাংকে ঢুকে টাকা জমা দিতে পারছেন অনেকে । আর যারা এই টাকা দিতে অসম্মতি প্রকাশ করছেন তাদের লাইসেন্স বাবদ টাকা গ্রহনের সুযোগ থাকছে না।তারাই বারবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন ।
টাকা জমাদানকারীরা আরও অভিযোগ করেন যে, প্রচুর ভিড় থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী পুলিশ এসে তাদেরকে সরিয়ে দিচ্ছেন। এই সুযোগে দালাল চক্রটি অন্যদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এমনকি ফ্লেক্সিলোডের মাধ্যমে ব্যাংকের নির্দিষ্ট কারও নম্বরে টাকা পৌঁছানো গেলে তিনিও লাইসেন্সের টাকা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তারা জানান সময় মতো টাকা জমা দিয়ে গাড়ির লাইসেন্সের কাগজপত্র দেখাতে না পারলে সড়কে মোটর সাইকেল চালাতে গিয়ে তারা পুলিশের বাধার মুখে পড়ছেন ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা ব্রাক ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার জহির আহমেদ জানান, ব্যাংকের ভেতর কোন অনিয়ম হচ্ছে না। ভিড় থাকায় ১০ জন করে ভেতরে আসছেন । তাদের টাকা গ্রহন করে অন্য ১০ জনকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। দালাল চক্রের মাধ্যমে মাথাপ্রতি ৫০০ টাকা নগদে অথবা ফ্লেক্সিলোডের মাধ্যমে গ্রহন করার কোন অভিযোগ তিনি এই প্রথম শুনলেন বলে জানান। আইন শৃংখলা বজায় রাখার জন্য পুলিশ মঙ্গলবারও দুইএকজনকে ধরে নিয়ে গেছে ।
এদিকে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট একটি ব্যাংকের ওপর এই দায়িত্ব না দিয়ে তা অন্যান্য ব্যাংকে বাটোয়ারা করে দিলে সেক্ষেত্রে টাকা জমাদান খুব সহজ হতে পারতো। তারা লাইসেন্সের জন্য টাকা জমা নিতে সিরিয়াল না মানা এবং তাদের কাছ থেকে টাকা গ্রহনের প্রতিবাদ জানিয়েও তা নিয়ে সোচ্চার হতে পারছেন না। এর কারন হিসাবে তারা জানান এমনটি করা হলে টাকা জমা দিতে তারা আরও হয়রানির শিকার হতে পারেন।