
স্টাফ রিপোর্টার ::
সাতক্ষীরার বুধহাটায় অবৈধভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের উদ্দেশ্যে সহদর ছোট ভাই ও ভাইপোদের নামে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানির করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামের মৃত আলী বক্স সরদারের ছেলে মোঃ আবুল কাশেম সরদার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বুধহাটা বাজারে আমারসহ চার ভাই আব্দুস সালাম, মুনসুর আলী ও লিয়াকত আলী সরদারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (দোকানঘর) রয়েছে। সেখানে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দীর্ঘদিন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। ভাই মুনসুর আলীর ছেলে ফারুক হোসেন তার বাবার দোকানে বসে ব্যবসা পরিচালনা করছে। দোকানগুলো বুধহাটা বাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হওয়ায় আমাদের ভাই লিয়াকত আলী অবৈধ লাভের বশবর্তী হয়ে ছোট ভাই ও ভাইপোর দোকানঘরগুলো দখলের পায়তারা করতে থাকে। এরই জের ধরে মিথ্যে মামলা ও বিভিন্ন দপ্তরে ভূয়া অভিযোগ দিয়ে তাদেরকে হয়রানি করে আসছে। আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকিও দিচ্ছে। ছুতি
তিনি বলেন, এবিষয়ে বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে শালিশী বৈঠক হয়। সেখানে লিয়াকত আলীর মিমাংসা করার কথা বললেও কয়েক দিনপর তার দোকান লুটপাট করা হয়েছে উল্লেখ করে আদালতে আমাদের নামে আরো একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করে। সেখানে অস্ত্র, সশস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলার কথাও বলা হয়েছে। সকাল ৮/৯ টার দিকে প্রকাশ্যে বাজারে শত শত লোকের সামনে এধরনের ঘটনা ঘটলো অথচ কেউ কিছু জানলো না। আমাদের হয়রানি করার জন্য সম্পূর্ন মিথ্যে ঘটনা সাজিয়ে এই মামলা করা হয়েছে।
আবুল কাশেম অভিযোগ করে আরো বলেন, ভাই লিয়াকত আলী তার স্বার্থ উদ্ধারের জন্য আমাদের ২ভাই এবং ৪ ভাইপোর নামে একের পর এক মিথ্যে মামলা দিয়ে যাচ্ছে। তার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমরা মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াই অথবা আটক হয়ে কারাগারে থাকি। আর এই সুযোগে লিয়াকত আলী লোকজন ভাড়া করে রাতারাতি আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নিবে।
লিয়াকত আলীর উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর অতি: জুডিশিয়াল আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১৪৫ ধারা জারি পূর্বক শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আশাশুনি থানার উপর নির্দেশ দেন। এরপরও লিয়াকত আলী দোকানঘর দখল করে নিতে প্রকাশ্যে আমাদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করছে। স্বার্থলোভী ভাই লিয়াকত আলীর মিথ্যে মামলায় আমরা সর্বশান্ত হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছি। তাদের হুমকি-ধামকিতে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। তিনি লিয়াকত আলীর হাত থেকে দোকানঘর রক্ষা এবং মিথ্যে মামলার দায় থেকে অব্যহতি পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
##