
স্টাফ রিপোর্টার।
মিথ্যা মামলা ও হয়রানী থেকে রক্ষা পাওয়ার দাবিতে শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে শহরের পলাশপোল এলাকার আবুল কালামের ছেলে আর্টিস্ট মোঃ গোলাম মোস্তফা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গোলাম মোস্তফা বলেন, বিগত ২০১৩ সালে শহরের উত্তর কাটিয়ার মৃত সোলায়মান আলীর ছেলে আবুল হোসেন সোনালী এসসিএস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানে আর্কষণীয় বেতনে চাকুরি করার কথা বললে তিনি নিজস্ব প্রতিষ্ঠান মেঘনা আর্ট ছেড়ে তার ওই প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন। চাকুরীতে যোগদানের শর্তা হিসাবে আবুল হোসেনকে ৫০ হাজার টাকার একটি ব্যাংক চেক প্রদান করেন তিনি।
কিন্তু পাচঁ মাস ধরে বেতন না দেয়ায় চাকুরি ছেড়ে দেয়ার কথা বললে সে মাসিক এক হাজার টাকা হারে তাকে মোট ৫ হাজার টাকা দেয়। এসময় তার দেয়া (গউ.এঙখঅগ গঙঝঞঅঋঅ ১৮০-১০১-৭৭৭৩২ ডাচ বাংলা ব্যাংকের ৮৬৬৭৭১০০ চেকটি ফেরত চাইলে সে জানায় মিনি মার্কেট এরিয়ায় যে লোন বাকী পড়ে আছে সেগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত তার চেক ফেরত দেয়া হবে না।
এরিয়ার লোন শোধ হলে তার বাড়িতে গিয়ে সবকিছু দিয়ে আসার কথা জানায় আবুল হোসেন। চাকুরি ছেড়ে দিয়ে তিনি শহরের মিনি মার্কেটে বিভিন্ন আর্টের দোকানে চুক্তিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন। কিন্তু চাকুরি ছাড়ার কিছুদিন পর আবুল হোসেন মিথ্যাভাবে তার কাছ থেকে ধার করেছি বলে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ফেরতের দাবিতে জজকোর্টের উকিল এড. আকবর আলীর মাধ্যমে একটি নোটিশ প্রদান করে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আবুল হোসেন ছাত্রজীবনে শিবিরের সাথী ছিলেন এবং বিভিন্ন নাশকতা মামলায় জড়িত। সে ২০১৩ সালে জামায়াত-বিএনপির তান্ডবে সরাসরি অংশ নেয়সহ ওই সংস্থা থেকে আয় করা টাকার একটি অংশ জামায়াতের সংগঠন চালাতে ব্যয় করতো। তার এই কাজে বাধা দেওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে কৌশলে তাকে চাকুরিচ্যুত করে। তার সকল অপরাদের স্বাক্ষী হওয়ায় তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া চেষ্টা করছে আবুল হোসেন। তিনি স্বাধীনতা বিরোধী, জামায়াতের অর্থ জোগান দাতা আবুল হোসেনের মিথ্যা মামলা ও হয়রানী থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।