সাতক্ষীরায় মোনাজাত হোসাইনের সংবাদ সম্মেলন


376 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
সাতক্ষীরায় মোনাজাত হোসাইনের সংবাদ সম্মেলন
মার্চ ১৪, ২০১৮ ফটো গ্যালারি সাতক্ষীরা সদর
Print Friendly, PDF & Email

স্টাফ রিপোর্টার ::
সাতক্ষীরার দেবহাটা পাওনা টাকা চাওয়ায় দেবহাটার সখিপুর ইউপি’র ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা কর্তৃক মিথ্যা মামলায় জেল হাজত খাটানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দেবহাটার সখিপুর গ্রামের মো: আজিবর গাজীর ছেলে মোঃ মোনাজাত হোসাইন বলেন, আমি একজন কাঠমিস্ত্রি। সারা দিন কঠোর পরিশ্রম করে উপার্জন করা টাকা দিয়ে আমাদের সংসার চলে। সখিপুর আমতলা মোড়ে আমার একটি দোকানও রয়েছে। বিগত রমজান মাসের আগে সখিপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শামসুর রহমানের ছেলে হাসান তার বাড়িতে কিছু কাজ করে নেওয়ার জন্য আমাকে নিয়ে যায়। ১৬ দিন কাজ করার পরে টাকা না দিয়ে তাল বাহানা শুরু করে। একপর্যায়ে প্রায় ৩ মাস পরে কুরবানি ঈদের ৪/৫ দিন আগে সখিপুর মোড়ে হাসানের কাছে আমার পরিশ্রমে টাকা চাইতে গেলে সে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমাকে প্রকাশ্যে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। হাসানের পিতা আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড সভাপতি হওয়ায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দেবহাটা থানা গিয়ে উল্টো আমার নামে, আমার পিতা আজিবর গাজী, মাতা ফতেমা ও আমার ঢাকায় বসবাসকারী ভাই মোস্তফার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এঘটনায় আমি ও আমার পিতাকে ২ মাস জেল হাজতে খাটতে হয়েছে। জেল হাজতে থাকাকালে ওই হাসান ও চাচা রেজাউল সহ সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে আমার সখিপুরস্থ দোকানের তালা ভেঙে সকল মালামাল নিয়ে যায় এবং রেজাউল নতুন একটি তালা লাগিয়ে রাখে। জেল থেকে বের হয়ে আমি উক্ত দোকান খুলতে গেলে হাসান, তার পিতা শামসুর, চাচা রেজাউলসহ তার সহযোগীরা আমাকে হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। শামসুর প্রকাশ্যে হাসানকে বলেছে মোনাজাতকে মেরে লাশ ফেলেদে প্রয়োজনে আমারও জেল খাটবো। এধরনের ২/১টি লাশ পড়লে খুব বেশি দিন জেল খাটা লাগবে না। এই হুকুম পাওয়ার পর থেকে হাসান আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। রাস্তা, ঘাটে যেখানে আমাকে দেখতে পাছে আমাকে হত্যার জন্য ছুটে আসছে। এমনকি অন্যের দোকানেও কাজ করতে গেলে সেখানে গিয়েও হুমকি ধামকি প্রদর্শন করছে হাসান গং। আমার আয়ে আমাদের সংসার চলে। কিন্তু উক্ত হাসানের কারণে কাজ করতে না পেরে আমরা বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছি। শুধু আমিই না আমার পরিবারের অন্য সদস্যরা তার কারণে ভীতুশন্ত্রস্ত্র। উক্ত হাসান অত্র এলাকার চিহ্নিত মাদক সেবী ও মাদক ব্যবসায়ী। ইতোপূর্বে পুলিশের হাতে একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছে। যে কারণে সে কোন মুহুর্তে আমার বা আমার পরিবারের বড়ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এব্যাপারে আ’লীগ নেতা ও তার মাদকাসক্ত পুত্র হাসান গং দের হাত থেকে আমার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান উদ্ধার, মিথ্যা মামলা প্রত্যহার ও জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।