
স্টাফ রিপোর্টার ::
সাতক্ষীরায় নিজের প্রতারনা ও জালিয়াতি ঢাকতে রাজু বাবু প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করতে সংবাদ সম্মেলনে সম্পূর্ন মিথ্যে, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা এক প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুর এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ মোল্যার ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার পিতা আব্দুর রশিদ মোল্যা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার গেজেট নং-২০৩০। আমাদের ৪ ভাই ও ৫ বোন রেখে ২০১৭ সালের ২৬ এপ্রিল আমার পিতা মারা যান। মত্যুর আগে আমার পিতা ১৯৯৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর ও ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর ৯১২২ ও ৯৮৩০ নং কোবলা দলিল মূলে রসুলপুর মৌজার এস,এ-৪১৯ খতিয়ানের সাবেক ১২১৯, ১২২০, ১২২২ ও ১২৩০ দাগে ১.৬৮ একর জমির মধ্যে ০.০৭+০.০৮ একর মিলে মোট ০.১৫ একর জমি খরিদ করে সেখানে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন। পরবর্তীতে আমার পিতা আব্দুর রশিদ মোল্যা উক্ত ০.১৫ একর জমি ১৪৩ ও ১১৭ ধারার বিধান মতে ২৩৫/১৯৯৯-২০০০ নং কেসে ৪১৯/১১ নং খতিয়ানে নিজের নামে নাম পত্তন করেন। যা আপোষ চিহিৃত ও দখল মতে ১২১৯ নং দাগ হতে প্রাপ্ত। বিগত ৩/১১/১৯৯৯ তারিখ হতে আমরা বকেয়াসহ সরকারি খাজনা পরিশোধ করে ভোগদখল করে আসছি।
তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে উক্ত খতিয়ানের জমি নিয়ে সাতক্ষীরা সদর সহকারি জজ আদালতে ১৬৯/২০০০ নং মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় আমার পিতা ১২০ নং বিবাদী পক্ষ ছিলেন এবং ২০১২ সালের ১৭ জুলাই রায়ে ১২১৯ দাগ হতে ০.১০ একর এবং ১২২২ দাগ হতে ০.০৫ একর জমিসহ মোট ০.১৫ একর জমির রায় ও ডিগ্রী প্রাপ্ত হন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, উক্ত খতিয়ানের কুশখালী গ্রামের মৃত মছোল উদ্দীন সরদারের ছেলে আব্দুল খালেক সরদার ভূয়া দলিল সৃষ্টি করে এবং তার ছেলে রাজু বাবু জোর পূর্বক সন্ত্রাসী বিহিনী নিয়ে দখল করার চেষ্টা করে ও বাঁশদহা গ্রামের অব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুল মান্নানের কাছে বিক্রির পায়তারা করে। আব্দুল মান্নান ওই জমি কিনতে অস্বীকার করায় এবং প্রতারনা ও জালিয়াতি ফাঁস হওয়ায় রাজু বাবু গত ২৪ মার্চ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আমার মুক্তিযোদ্ধা পিতা আব্দুর রশিদ মোল্যাসহ আমাদের জড়িয়ে সম্পূর্ন মিথ্যে, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করে। নিজের অপরাধ ঢাকতে ও প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করতে রাজু বাবু সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যে তথ্য উপস্থাপন করে। আমি রাজু বাবু’র দেয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, রাজু বাবু একজন চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। মাদকসহ আটক হয়ে তার শশুর বর্তমানে কারাগারে আছে। তার শ্যালক একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী। ২০১৭ সালের ৮ মার্চ রাজু বাবু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার পিতাকে পিটিয়ে আহত করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ এপ্রিল তিনি মারা যান। তিনি রাজু বাবু ও তার সহযোগিদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
##