
॥ বিশেষ প্রতিনিধি ॥
——————————-
রাতে পুলিশের এসআই মিরাজ হোসেন ৩/৪ জনকে সাথে নিয়ে আমার বাড়িতে ঢুকেছিলেন। আমার স্বামীকে না পেয়ে আমাকে নানাভাবে লাঞ্ছিত করেছেন তিনি ও তার সঙ্গীরা। এ সময় আমার সাথে পুলিশ ও কথিত ইনফরমারদের ধস্তাধস্তি হয়েছে। তারা আমার ঘরে থাকা সাড়ে ১১ হাজার টাকা জোর করে নিয়ে গেছে ।
তবে এসআই মিরাজ হোসেন বলেন ‘ আমি টাকা নেই নি। অন্য কেউ নিয়েছে কিনা জানিনা’।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে পুলিশের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মৃগিডাঙ্গা গ্রামের গৃহবধূ নুরুন্নাহার বেগম। এ সময় তার চোখের নিচে আহত হবার কালো চিহ্ণও সাংবাদিকদের দেখান তিনি। তিনি বলেন পুলিশ বলেছে ‘এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তোদের ভিটেছাড়া করে দেবো’।
নুরুন্নাহার বলেন সম্প্রতি তাদের জমিতে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অস্থায়ী দোকান বসানোর ঘটনা নিয়ে হজরত মোস্তফা ও গফুর সান্টুর মধ্যে মারামারি হয়। এ নিয়ে মামলা করে হজরত মোস্তফা। আর এই মামলায় আমার স্বামী রড সিমেন্ট বিক্রেতা আবু হাসানকে ১ নম্বর আসামি করে মোস্তফা। অথচ তিনি সেদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
নুরুন্নাহার বলেন এই মামলায় পুলিশ শুক্রবার রাতে আমার স্বামীকে ধরতে আমার বাড়িতে যায়। স্বামীকে না পেয়ে নির্যাতন শুরু করে আমার ওপর। তিনি বলেন আমি একজন নারী । সব কথা বলতে পািরনা। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আমাকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করা হয়। বালিশের নিচ থেকে ১১ হাজার ৭৬৫ টাকা নিয়ে নেয় তারা। একই সাথে দুটি মোবাইল ও একটি টর্চলাইটও নিয়ে নেয় পুলিশ। পরে মোবাইল দুটি ফেরত দিলেও টর্চ লাইট ও টাকা ফেরত দেয়নি তারা। তিনি বলেন অপমানের কথা আমি মুখ ফুটিয়ে বলতে পারবো না।
জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজ হোসেন বলেন ‘ আসামি ধরতে গিয়েছিলাম। যে অভিযোগ তিনি দিয়েছেন তা সত্য নয়। আমি টাকা নেইনি। অন্য কেউ নিয়েছে কিনা জানা নেই’।
———————————-
এস আই মিরাজ হোসেনের বক্তব্য :
———————————-
এদিকে, শনিবার বিকালে ভয়েস অব সাতক্ষীরায় এ খবর প্রকাশের পর সন্ধ্যা ৭ টা ৩৬ মিনিটের সময় ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডটকম সম্পাদকের সাথে কথা বলেন এস আই মিরাজ হোসেন।
এ সময় তিনি বলেন, ওই মহিলা যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়, মিথ্যে ও বানোয়াট। আমাকে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা জন্য এবং নিজের স্বামীকে বাঁচানোর জন্য তিনি এ ধরনের অভিযোগ করেছে। আমি কোন টাকা নেয়নি। তিনি বলেন, রাতে আমরা যখন আসামী ধরতে ওই বাড়িতে যাই তখন আমাদের সবার উপস্থিতিতে ওই রাতেই গৃহবধু নুরুন্নাহার অভিযোগ করেছিলো তার টাকা হারানোর বিষয়টি। আমি শুনার পর সেখানে উপস্থিত সবার পকেট চেক করি। কিন্তু কোন টাকা পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, আমাদের সাথে ওই মহিলার কোন ধস্তাধস্তি হয়নি। তিনি বলেন, নুরুন্নাহারের স্বামী নাশকতা মামলার আসামী। মামলা থেকে স্বামীকে বাঁচাতে এ ধরনের মিথ্যে অভিযোগ করেছে।
##