
নাজমুল আলম মুন্না ::
জাতীয় মৌলিক বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হবার লক্ষ্যে এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয় কমিটি ও সাতক্ষীরা জেলা উদ্যোগের আয়োজনে রবিবার সকাল ১০টায় এক নাগরিক সংলাপ মাওয়া চাইনিজ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব মাধব চন্দ্র দত্তের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক মোঃ আনিসুর রহিম। নাগরিক সংলাপের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন সংগঠনের সদস্য সচিব আ.ব.ম মোস্তফা আমীন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য ও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সম্মানীত সদ্যস্য মো হাবিবুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, সা.সম্পাদক আব্দুল বারী, কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ। সংলাপে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার, কমিটির সদস্য মোঃ হানিফ খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রবিত্র মোহন দাশ, মানবাধিকার কর্মী ফারুক রহমান, নাজমুল আলম মুন্না, অনামী কৃষ্ণ মন্ডলার, আব্দুল মান্নান, কাজী জাফর আনোয়ার, শেখ লুৎফর রহমান, সাবেক অধ্যক্ষ ড. দিলারা বেগম, সাবেক পৌর কাউন্সিলর শেখ আছাদুজ্জজামন আহম্মদ, মনিরুজ্জামান মুন্না, ভূমিহীন নেতা আলীনুর খান বাবুল, হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিত্বরা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে বলেন স্বাধীনতাপূর্ব স্বৈরশাসক গোষ্ঠী গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে এবং নানা অপকৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে মানুষে-মানুষে অঞ্চলে অঞ্চলে চরম বৈষম্যমূলক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করে। বাংলাদেশের কৃষক -শ্রমিকের উৎপাদন ঈর্ষান্বিত হবার মতো, আমাদের যুবকেরা মেধাবী ও সৃজনশীল, শিল্প-বানিজ্য উদ্যোক্তরা দক্ষ। নানা গুনের অধিকারী একটি জনগোষ্ঠীর অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশ, স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায়, যোক্তিক লক্ষ্য অর্জনে সফল হয়নি। সাধারণ মানুষের দারিদ্র্যমুক্তি ঘটেনি। সংবিধান ও আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ নিশ্চিত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অমিত সম্ভাবনাময় আমাদের দেশকে একটি দুর্নীতিমুক্ত ন্যায় -নীতি ভিত্তিক উন্নত, সমৃদ্ধ ও মর্যাদাবান রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব।
এই লক্ষে সমস্ত চিন্তা চেতনা ও উন্নয়ন ঢাকা কেন্দ্রিক না করে জেলায় জেলায় সরকার গঠন করে এলাকার আয় দিয়ে জেলার উন্নয়ন করতে হবে এই দাবি জানিয়ে আয়োজনকারীরা বলেন সকল এমপি ও মন্ত্রীদের প্রতিবছর আস্থা ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে, পুর্নগনতন্র প্রতিষ্ঠার জন্য তাগিদ দিয়েছেন। এছাড়া সকল জনগনের প্রতিষ্ঠান সরকারি প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী ও কার্যকর করাসহ প্রণীত আইন-বিধি ও নীতিমালা অনুসারে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ দল নিরপেক্ষ, ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন, সৎ, মেধাবী যোগ্য ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়োজিত করা। এবং শোষণমুক্ত করে সামাজিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন সাধন করা, ধর্মের ভিত্তিতে জনগণের মধ্যে কোন প্রকার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টি না করা, বিদেশী লুন্ঠন প্রতিহত করে প্রাকৃতিক সম্পদ একমাত্র দেশীয় উন্নয়নে ব্যবহার করা, আঞ্চলিক অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করা, সুশিক্ষিত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আধুনিক উৎপাদনমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করা, গ্রাম-শহর ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দুর করে শোষনমুক্ত ন্যায়নিষ্ঠ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাসহ ১৪ দফা দাবি জানান।