
স্টাফ রিপোর্টার ::
আমার বোনাই ইসমাইল হোসেন একজন মুদি দোকানী। তার অনুপস্থিতিতে তার দোকানে গাঁজা ও ইয়াবা রেখে তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেফতার করানো হয়েছে। তিনি নির্দোষ বলে দাবি করেছেন পুরাতন সাতক্ষীরার আরশাদ আলির মেয়ে রীমা খাতুন ।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে রীমা বলেন তার সাথে কাছারিপাড়ার বাকপ্রতিবন্ধী তরিকুল ইসলামের বিয়ে হয় ২০১৭ সালে । বিয়ের পর এক অনৈতিক ঘটনা নিয়ে রীমা তার ভাসুর শফিকুল দীপুর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এ মামলায় দীপু গ্রেফতার হয়ে জামিনে বাড়ি এসেছেন। তিনি বলেন এর প্রতিশোধ নিতেই ওই মামলার ৪ নম্বর সাক্ষি আমার বোনাই ইসমাইল হোসেনকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ইয়াবার মালায় ঢুকিয়েছেন তারা।
রীমা খাতুন বলেন এর আগে ৯ মার্চ শাল্যে এলাকার বাসিন্দা ফুড অফিস মোড় এলাকার ফার্মেসী ব্যবসায়ী হাসান নামের এক যুবক বোনাই ইসমাইলের মুদি দোকানে যায়। ইসমাইলের ১০ বছরের শিশু কন্যা তা দেখতে পায়। হাসান এ সময় মুড়ি কেনার ভান করে সানসেটের ওপর গাঁজা ও ইয়াবা রেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে তা উদ্ধার করে। এ সময় ইসমাইলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেখানে উপস্থিত তার শিশু কন্যাসহ অনেকেই বলেন শাল্যের হাসান নামের এক যুবক এসে কৌশলে ইয়াবা রেখে গেছে। রীমা বলেন তার বোনাই কখনও নেশা করে না, মাদক কারবারও করে না। তিনি দীপুর ষড়যন্ত্রের শিকার। রীমা তার বোনাই ইসমাইলের মুক্তি দাবি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রীমার মা তাসলিমা খাতুন, টাইলস শ্রমিক ইউনয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম, লিজা খাতুন, রেশমা খাতুন, মরিয়ম বেগম, জোহরা খাতুন, মুরাদ হোসেন, জামাল সরদার, আমান হোসেন, হোসেন গাজি, সুজন, সাগর, মিন্টু, আরশাদ, বোরান হোসেন প্রমূখ আত্মীয়স্বজন।
##