
নাজমুল হক ::
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রাইমারী স্কুল সমাপনী (পিএসপি) পরীক্ষার ভিত্তিতে জেলায় ৯৯৫ জনকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৩৯৬, সাধারণ গ্রেডে ৫৯৩ এবং সম্পূরক বৃত্তি ৬ জন লাভ করেছে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তিন বছর বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা সরকারের আর্থিক সুবিধে পাবে বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সূত্র জানায়। গত বছরের চেয়ে এ বছর বৃত্তিপ্রাপ্তের সংখ্যা কমেছে ১৪ জনে।
সূত্র জানায়, জেলার আশাশুনি উপজেলায় ট্যালেন্টপুলে ৫৮, সাধারণ গ্রেডে ৬৯ জন, কলারোয়া উপজেলায় ট্যালেন্টপুলে ৪৬, সাধারণ গ্রেডে ১২৩ এবং সম্পূরক পরীক্ষায় ৬ জন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ট্যালেন্টপুলে ৫৫, সাধারণ গ্রেডে ৭৫ জন, তালা উপজেলায় ট্যালেন্টপুলে ৬০, সাধারণ গ্রেডে ৭৫ জন, দেবহাটা উপজেলায় ট্যালেন্টপুলে ২২, সাধারণ গ্রেডে ৩৩ জন, শ্যামনগর উপজেলায় ট্যালেন্টপুলে ৭০, সাধারণ গ্রেডে ৭৫ জন এবং সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় সর্বাধিক ট্যালেন্টপুলে ৮৫, সাধারণ গ্রেডে ১৪৩ জন বৃত্তি লাভ করে।
সূত্র আরো জানায়, পূর্বে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তদের প্রতি মাসে ২০০ টাকা করে দেওয়া হলেও এ বছর থেকে এর পরিমাণ ৩০০ টাকা এবং সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তদের প্রতি মাসে ১৫০ টাকা করে দেওয়া হলেও এ বছর থেকে ২২৫ টাকা করে দেওয়া হবে। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা যে বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে সেখানে বৃত্তির আওতায় আসবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তিন বছর বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা সরকারের এই আর্থিক সুবিধে পাবে।
সূত্র আরো জানায়, পূর্বে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তির জন্য পৃথক পরীক্ষা নেওয়া হতো। কিন্তু ২০১০ সালের পর থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলেও ভিত্তিতে উপজেলা ভিত্তিক এ বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসের সূত্র জানায়, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে সেখান থেকে বৃত্তির অর্থ লাভ করবে। এ ক্ষেত্রে কোন বাধা থাকবে না। প্রসঙ্গত, গত বছল জেলায় ১০১৪ জনকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছিলো। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৪১০, সাধারণ গ্রেডে ৫৯৮ এবং সম্পূরক বৃত্তি ৬ জন লাভ করেছিলো।