
বিশেষ প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা জেলা শহরে অপরিকল্পিত ভাবে বাড়ি-ঘর নির্মান, শহরের চারিপাশে ইচ্ছেতম বেড়িবাধ দিয়ে মাছ চাষ এবং পৌরসভার ভিতর ড্রেনেজ ব্যাবস্থা না থাকায় বিস্তিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলবদ্ধতা। সাতক্ষীরা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টি ওয়ার্ডের মানুষ জলবদ্ধতার কারনে নাকাল হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুম আসলেই জেলা শহরের মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যেপড়ে।
সাতক্ষীরা জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মুনজিতপুর, রাজারবাগান, মুন্সিপাড়া, পলাশপোল, কামালনগর, মাঠপাড়া, মাগুরা, বদ্দিপুর কলনীসহ আশপাশের এলাকা জলবদ্ধতার কারনে বসবাসের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ এলাকা কোমর পানিতে ঢুবে আছে।
সাতক্ষীরা জেলা শহরের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত প্রাণ সায়র খাল। এই খালের একপ্রান্তে বেতনা নদী এবং অপরপ্রান্তে মরিচ্চপ নদী। কিন্তু এই নদী দু’টি পলিজমে ভরাট হয়ে যাওয়ার প্রাণ সায়ল খাল দিয়ে আর পানি নিস্কাশন হচ্ছে। ফলে গ্রামের পর গ্রাম সৃষ্টি হয়েছে জলবদ্ধতা। গত ৭ থেকে ৮ বছর ধরে বছরের প্রায় ৩ মাস এলাকা পানিতে ঢুবে থাকে।
মানুষের অবর্ননীয় দুর্ভোগ। রান্না -খাওয়া জায়গা নেই।

সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে শহরের নিচ এলাকার মানুষের কষ্টের শেষ নেই। রাস্তার উপর দুই থেকে তিনফুট পানি। কোথাও কোথাও এলাকাবাসি নিজ উদ্দ্যোগে ড্রেনেজ ব্যাবস্থা চালু করে যতসামান্য পানি নিস্কাসনের ব্যাবস্থা করছে। জরুরি ভিত্তিতে তারা জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মুনজিতপুর এলাকার বাসিন্দা আকম আমিনুল হক শান্টু জানান, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা শহরের একাডেমি মসজিদ থেকে জেবুনেছা ছাত্রীনিবাস, মুন্সিপাড়া থেকে ফকির ময়ারার বাড়ি ও মুনজিতপুরের চৌধুরি বাড়ি হতে খোলার টালি পর্যন্ত পানিতে ডুবে আছে। এসব রাস্তায় দুই থেকে তিন ফুট পর্যন্ত পানি। এসব এলাকার মানুষের ঘরের ভিতর রান্না ঘরের ভিতর পানি। অনেকেই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। তিনি আরও বলেন আমরা প্রথম থেকে এলাকাবাসি পানি নিস্কাসনের ব্যাবস্থা করে আসছি। কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার কারনে সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না। রাস্তার উপর পানি তার উপর ভাঙ্গাচোরা রাস্তা সীমাহীন কষ্ট এলাকাবাসির। তিনি জরুরি ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক ও উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকীন আহমেদ চিশতি বলেন, অপরিকল্পিত বশতবাড়ি নির্মান এবং পৌরসভার আশপাশে প্রভাবশালীদের ঘের নির্মান করার কারনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিস্কাশনের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।