
এম. বেলাল হোসাইন :
জমে উঠেছে সাতক্ষীরা পৌর সভা নির্বাচন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায়ও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পৌর নির্বাচন। এবার নির্বাচনে সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র পদে ৫ জন, কাউন্সিলর পদে ৯ টি ওয়ার্ডে অন্তত ২০ জন দলীয় মননোয়ন ক্রয় করেছে। বাদ যায়নি জামায়াত নেতা সদ্য নাশকতা মামলায় জামিনে মুক্তি পাওয়া বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শহিদুল ইসলাম।
এদিকে আসন্ন পৌর নির্বাচনকে ঘিরে সাজ সাজ রব চললেও ঘুম নেই আওয়ামী নেতাদের। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে অধিকাংশ নেতাকর্মীরা। কেউ কেউ আবার নির্বাচনে আগাম প্রস্তুতির জন্য গত ২’মাস আগে থেকে আগাম নির্বাচনী প্রচারে নেমেছে। গত শনিবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম মুনসুর আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম পৌর নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদ প্রার্থীদের দলীয় মননোয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় ফরম বিক্রি করেন এবং জমা নেন।
পরেরদিন শহরের কাটিয়া বাজারস্থ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম শওকত হোসেনের অফিসে রবিবার সকাল ৯ টা হতে ১১ টা পর্যন্ত শ্রমিকনেতা শেখ হারুন আর রশিদ দলীয় মননোয়ন বিক্রয় ও জমা নেন। মেয়র পদে আবেদন পত্র ক্রয় করেছেন আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম, আবু সাঈদ, শাহাদত হোসেন, ছাইফুল করিম সাবু ও আশরাফুল হক।
এদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম শওকাত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শনি ও রবিবার দু’দিনে সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৫জন ও ৯ টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে অন্তত ২০ জন দলীয় মননোয়ন প্রত্যাশী দলীয় ফরম ক্রয় করেছে। অবশ্য কাউন্সিলরদের ব্যাপারে পরে সঠিক তথ্য জানানো হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীদের আবেদন যাচায় করে রবিবার বিকালে প্রধান মন্ত্রীর দপ্তরে আবেদনগুলি পাঠানো হবে। কাউন্সিলরদের ব্যাপারে তিনি জানান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক সভা করে ঠিক করবেন দলীয় প্রার্থী।
অপরদিকে কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে প্রতি ওয়ার্ড থেকে ২ থেকে তিন প্রার্থী হওয়ায় যেমনিভাবে বিপাকে পড়েছে দলের জেলা পর্যায়ের নীতি নির্ধারকরা আবার পাশাপাশি আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দু’একটি ওয়ার্ডের জামায়াত বিএন পি ও নাশকতা মামলার আসামীরা। তথ্য অনুসন্ধানে এমনই সন্ধান মিলেছে সাতক্ষীরা পৌর ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী’র ক্ষেত্রে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, পৌর ৬ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর নাশকতা মামলায় সদ্য জামিনে মুক্তি পাওয়া জামায়াত নেতা মোঃ শহিদুল ইসলাম আসন্ন পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছে। অভিযোগ উঠেছে জয় নিশ্চিত করতে তিনি মোটা অংকের টাকা নিয়ে দৌড় ঝাপ শুরুকরেছে সে ধর্ণা দিচ্ছে অনেক বাঘা বাঘা নেতার বাড়িতে। জনশ্রুতি রয়েছে যত টাকা খরচ কেন আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবে কাউন্সিলর শহিদুলসহ সদ্য আওয়ামীলীগের যোগদকারী একাধিক ব্যক্তি। এদিকে আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা জানিয়েছে দলীয় মনোনয়ন কিনলেই দলীয় প্রার্থী হয়ে যায় না। টাকা নিয়ে দৌড় ঝাপের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতা জানান, টাকা দিয়ে আওয়ামীলীগের মননোয়ন পাওয়া যায় না। তিনি আরো বলেন, নাশকতা মামলার আসামী হলে তার আবেদন করায় বৃথা হবে।
এব্যাপারে কাউন্সিলর শহীদুল ইসলাম বলেন, আমি জামায়াত করিনা। গ্রেফতারের বিষয়ে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।