
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সাঈদের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির পৈত্রিক সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পুরাতন সাতক্ষীরার নাথপাড়া এলাকার জব্বার আলী সরদারের ছেলে সাতক্ষীরার এডিশনাল জজের গাড়ির ড্রাইভার সিরাজুল ইসলাম।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৩ বিঘা জমি নিয়ে প্রতিবেশী আইন দফাদারের ছেলে নওশের আলীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এবিষয়ে আমরা সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। আদালত মামলাটি নিম্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয়পক্ষ কে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থেকে ওই জমিতে না যাওয়ার নিদের্শ দেন। কিন্তু বুধবার সকাল ১০টার দিকে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সাঈদের নেতৃত্বে রাশিদুজ্জামান রাশি, বেকারি রশিদ, দর্জি সিরাজুল ও নওশেরের জামাতা আলমগীরসহ ৩০/৪০জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে ওই জমি দখল করতে যায়। এসময় তারা ওই জমি দখলের জন্য প্রাচীর নির্মাণ করে। বাড়িতে কোন কোন পুরুষ লোক না থাকায় মহিলারা বাধা দিতে গেলে সাঈদ ও তার লোকজন আমার বৃদ্ধা মা রাবেয়া বেগম (৭০), বোন পুটি (৩৫), ভাবি মোমেনা বেগম (৪৫) ও আমার স্ত্রী ফরিদাকে (৩০) ব্যাপক মারপিট করে। আমি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে সাঈদের লোকজন আমাকেও মারপিট করে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিমাংসা করার জন্য বললে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পুলিশ চলে যাবার পর আবু সাঈদসহ কয়েকজন আমাদের বাড়িতে গিয়ে ওই জমির আসল কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ও হুমকি দিয়ে বলে ‘তুই জজ সাহেবের গাড়ি চালাস না, দেখি কোন জজ তোকে রক্ষা করে। রাস্তায় পেলে তোর হাত পা ভেঙে দেবো। পারলে তোর জজ সাহেবকে ঠেকাতে বলিস। আদালত যদি তোর পক্ষে রায় দেয় তখন জমি নিবি। এখন আমরা বেড়া দেবো পারলে ঠেকা। আর যদি আমার নামে কোথাও কোন নালিশ করিস তাহলে তোকে হত্যা করবো। যে বাবা থাকে ডেকে নিয়ে আয়।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ##