
কাজী জাহিদ আহম্মেদ :
সাতক্ষীরা সীমান্তে বিএসএফএর গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশির কফিনবন্দী মরদেহ ৩৬ ঘন্টা পর বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সুনসান নীরবতা ও চোখের জলে ভিজে শোকাহত পরিবারের সদস্যরা তাদের নিথর দেহ গ্রহন করেন। এ সময় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা ঘটে।
শুক্রবার সকাল থেকে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সন্ধ্যা ৬ টায় সাতক্ষীরার পাঁচরকি গ্রামের নিহত নজরুল ইসলাম ও কাকডাঙ্গার আবদুল খালেকের মরদেহ বিএসএফএর আমুদিয়া কোম্পানি কমান্ডার অ্যাডজুট্যান্ট নিজামউদ্দির ডিসি ও স্বরুপনগর থানা পুলিশ অফিসার অজিত ভট্টাচার্য তলুইগাছার চারাবাড়ি জিরো পয়েন্টে এনে হস্তান্তর করেন।
সেখানে আগে থেকে দুই পরিবারের স্বজনরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজিবির তলুইগাছা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার হায়দার আলি ,কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক পিন্টু এবং সাতক্ষীরা থানার উপসহকারি পরিদর্শক আবদুল মালেক ।
এর আগে কলারোয়ার কেড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যান ভুট্টোলাল গাইন ও মেম্বর ইয়ার আলি দুই বালাদেশির মরদেহ শনাক্ত করতে ভারতে যেয়ে আইন প্রক্রিয়া শেষ করেন । লাশ দুটির সাথে তারাও ফিরে আসেন ।
মেইন পিলার ১৩ এর সাব পিলার ৩ এর কাছে বাঁশদহা ইউপি সদস্য গওছুল আজম মনি নজরুলের দেহ গ্রহন করেন ।
অপরদিকে খালেকের দেহ গ্রহন করেন তার ভাই আবদুল মালেক। পরে কফিন দুটি নিজ নিজ পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে নিয়ে যান।
এর আগে নজরুল ও খালেকের গুলিবিদ্ধ মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয় বসিরহাটের বদরতলা হাসপাতালে। পরে তাদের নিয়ে আসা হয় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্বরুপনগর থানায়।
প্রসঙ্গত,গত বৃহস্পতিবার ভোরে তলুইগাছা সীমান্তের বিপরীতে ভারতের তারালিতে বিএসএফএর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নাগরিক নজরুল ও খালেক নিহত হন।
এসময় তাদের সহযোগী আনোয়ার হোসেন সোনাই নদীর পানিতে পড়ে মারা যান। বিজিবি এই হত্যার প্রতিবাদ জানায়। এ সময় অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করে জানায় ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো হত্যার ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে তারা সতর্ক থাকবে।