
এস কে হাসান ::
সাতক্ষীরা-৩ সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারন হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে আশাশুনি উপজেলা সদরে আনন্দ র্যালি ও মিষ্টি বিতরন করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। একই সাথে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় তারা আনন্দ উচ্ছাস প্রকাশ করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সাতক্ষীরার দু’টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের খসড়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলার আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে সাতক্ষীরা-৩ এবং কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার ২৪টি ইউনিয়ন নিয়ে সাতক্ষরী-৪ আসন গঠিত হয়েছে।
এদিকে আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে সাতক্ষীরা-৩ আসন গঠিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে আশাশুনি উপজেলা সদরে আনন্দ র্যালি ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারন হওয়ায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এবার তাদের নিজেদের এলাকায় নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পাওয়ার পাশাপাশি উন্নয়নের অংশিদার হতে পারবেন। ফলে এতদিনের উন্নয়ন বঞ্চিত আশাশুনি উপজেলা এবার উন্নয়নের ছোয়া পাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন আ’লীগ নেতারা।
আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম জানান, ২০০৮ সালে সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারন হওয়ায় আগে আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ছিল সাতক্ষীরা-৩ আসন। সীমানা পুননির্ধারনের পর আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের সাথে দেবহাটা উপজেলার ৫টি ও কালিগঞ্জ উপজেলার ৪টি মিলে মোট ২০টি ইউনিয়ন নিয়ে সাতক্ষীরা-৩ আসন গঠন করা হয়। এতে করে ২০০৮ সালের নবম ও ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আশাশুনি থেকে আ’লীগের কোন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। ফলে এই এলাকা ছিল এক রকম উন্নয়ন বিঞ্চিত। একই সাথে কাঙ্খিত সেবা পায়নি আশাশুনির জনগণ।
আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের কৃতি সন্তান সাবেক সেনা কর্মকর্তা বীর মুক্তি যোদ্ধা লেঃ কর্ণেল জামায়েত হোসেন তাৎক্ষনিক এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, নির্বাচন কমিশনের দেয়া সিদ্ধান্ত মোতাবেক সীমানা পুননির্ধারন করা হলে এই এলাকার মানুষ আর বঞ্চিত হবে না। তারা প্রকৃত সেবা পাবে। তিনি আরো জানান, স্থানীয়ভাকে যাকেই আগামী নির্বাচনে নমিনেশন দেয়া হবে তিনি তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারনে সাতক্ষীরা-৩ আসনের সর্বত্রই উন্নয়নের ছোয়া লাগানোর জন্য প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
##