সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে : তদন্তে কমিটি গঠন


384 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে : তদন্তে কমিটি গঠন
মার্চ ২৯, ২০১৬ জাতীয় ফটো গ্যালারি
Print Friendly, PDF & Email

এস.এম সাইফুল ইসলাম কবির, সুন্দরন থেকে ফিরে :
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলি ফরেস্ট ক্যাম্প এলাকায় সৃষ্ট অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা(ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যায় ওই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। সাইদুল ইসলাম জানান, সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) বেলায়েত হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা গাজী মতিয়ার রহমান ও ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের মোরেলগঞ্জ স্টেশন অফিসার স্বপন কুমার ভক্ত ঘটনাস্থল থেকে জানান, সুন্দরবনের ওই এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগুন যেন আর ছড়াতে না পারে এজন্য ফায়ার লাইন কাটা হয়েছে।  উল্লেখ্য, এ নিয়ে গত ১২ বছরে কমপক্ষে ৭টি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে পূর্ব সুন্দরবনে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০০৪ সালে নাংলী ও মান্দারবাড়িয়া এলাকায় আগুন লাগে। ২০০৫ সালে পচাকোরালিয়া, ঘুটাবাড়িয়ার সুতার খাল ও তুলাতলায়। ২০০৬ সালে তেরাবেকায় ও ২০০৭ সালে পচা কোরালিয়া ও ডুমুরিয়া এলাকায়। ২০১০ সালের ২০ মার্চ সুন্দবনের চাঁদপাই রেঞ্জের গুলিশাখালী ক্যাম্প সংলগ্ন উল্টা ট্যাপা এলাকায় ও ২০১৪ সালের ২১ মে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাদঁপাই রেঞ্জের গুলিশাখালী ও আমুরবুনিয়া ফরেস্ট ক্যাম্পের মাঝামাঝি বাইশেরছিলা এলাকার গহীন অরণ্যে আগুন লেগে পুড়ে যায় কয়েক হাজার গাছপালা ও কমপক্ষে ১৫একর বনভূমি। এ সব অগ্নিকান্ডে কোটি কোটি টাকার বনজসম্পদ ভস্মীভূত হয়েছে এবং অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে সুন্দরবনের। ##