সুন্দরবনের কাঠ কাটার প্রতিবাদ করায় কাটেশ্বর ফাঁড়ির ওসি নিরীহ তিন ব্যক্তিকে আটক করে বন আইনে মামলা দিয়েছে !


525 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
সুন্দরবনের কাঠ কাটার প্রতিবাদ করায় কাটেশ্বর ফাঁড়ির ওসি নিরীহ তিন  ব্যক্তিকে আটক করে বন আইনে মামলা দিয়েছে !
ডিসেম্বর ৯, ২০১৫ ফটো গ্যালারি শ্যামনগর
Print Friendly, PDF & Email

স্টাফ রিপোর্টার :
সুন্দরবন থেকে চোরাই ভাবে কাঠ কাটার জন্য লোক না দেয়ায় নিরীহ তিন ব্যক্তিকে আটক করে বন আইনে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছে বলে কাটেশ্বর বন টহল ফাঁড়ির ওসি মোশরাফ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার ৯ নং সোরা গ্রামের আবু সালাম মোল্যার স্ত্রী সেলিনা খাতুন ও আনারুল ইসলামের স্ত্রী মমতাজ বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সেলিনা খাতুন বলেন, শ্যামনগর উপজেলার আইলায় ক্ষতিগ্রস্থ জনপদের বাসিন্দা হওয়ায় তারা সুন্দরবনের নদীতে মাছের রেনু আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। ফলে মাঝে মধ্যে তাদেরকে কোষ্টগার্ড, বন বিভাগ ও বনদস্যুদের হাতে নির্যাতনের শিকার হতে হতো। তার স্বামী ৯ নং সোরা গ্রামের হোচেন আলী মোল্যার ছেলে আবু সালাম মোল্যা সুন্দরবনের কাটেশ্বর বন টহল ফাঁড়ির অফিসে কাজ করতো। সুন্দরবন থেকে চোরাই ভাবে কাঠ কাটার জন্য ওই অফিসের ওসি মোশরাফ হোসেনে তাকে (সালাম) বাইরে থেকে লোক আনতে বলে। লোক না দেয়ায় ওসি মোবাইল ফোনে রিং করে তার স্বামীকে কাঠ কাটার জন্য বলে (যার রেকডিং রয়েছে)। সে লোক না দয়ায় ওসি অন্য লোক ঠিক করে মাসিক চুক্তিতে ২০/২৫ খানা নৌকা ভর্তি করে কাঠ কাঠতে থাকলে তার স্বামী এর প্রতিবাদ জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৬ ডিসেম্বর রাত ১টার দিকে ওসি মোশরাফ হোসেনের নেতৃত্বে বুড়িগোয়ালিনী নৌ ফাঁড়ির দারোগা সুবিন্দ এসে তার স্বামী আবু সালাম মোল্যা, একই গ্রামের নজরুল ইসলাম গাজীর ছেলে আনারুল ইসলাম ও চাঁদনিমুখা গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলী শেখের ছেলে মহসিন আলী শেখকে  বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে তাদের তিনজনের নামে মিথ্যে অভিযোগ এনে বন আইনে মামলা (নং ১০/কাট অব ২০১৫-১৬) দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সেলিনা খাতুন ও মমতাজ বেগম অভিযোগ করে বলেন, ওসি মোশরাফ হোসেন তাদের স্বামীদের নামে মিথ্যে মামলা দিয়ে ক্ষ্যান্ত হয়নি, বন বিভাগের লোকদের বিরুদ্ধে কথা বললে বৃদ্ধ শশুরকেও ধরে নিয়ে অস্ত্র মামলায় চালান দেয়া হবে বলে মোবাইলে হুমকি দিচ্ছেন তিনি। এঘটনায় তাদের অসহায় পরিবারের সদস্যরা আতংকিত হয়ে পড়েছে। তারা মিথ্যে মামলার দায় থেকে তাদের স্বামীদের অব্যহতি দানের পাশাপাশি কাটেশ্বর বন টহল ফাঁড়ির দুর্নীতিবাজ ওসি মোশরাফ হোসেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।