
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা :
সুন্দরবনের কয়রা উপজেলার মাদারবাড়িয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু ইলিয়াস-জাহাঙ্গীর বাহিনীর ছয়জন নিহত হয়েছে।
রোববার বিকেল পৌনে ৪টায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিনটি বাঘের চামড়া এবং অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে। এ সময় কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ত. ম. রোকনুজ্জামান জানান, রোববার সকালে কয়রা উপজেলার সুন্দরবনের দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চরামুখা গ্রামের গাজীবাড়ী এলাকা থেকে কয়রা থানা পুলিশ সাত বনদস্যুকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের বনদস্যু ইলিয়াস-জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্য বলে জানায় এবং অস্ত্রভা-ার সুন্দরবনের গহিনে রয়েছে বলে স্বীকার করে। দুপুরের পর পুলিশ তাদের নিয়ে সুন্দরবনের মাদারবাড়িয়া খালের উত্তর পাশে পৌঁছলে আস্তানায় লুকিয়ে থাকা তাদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে।
এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে এক পর্যায়ে ক্রসফায়ারে পড়ে আনসার সানা (৫৫), সিদ্দিক সানা (৪৫), বাপ্পি হোসেন (২০), রফিকুল ইসলাম (৩৮), মজিদ গাজী (৩৫) ও মামুন গাজী (২৫) নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিনটি বাঘের চামড়া এবং চারটি বিদেশি বন্দুক, একটি বিদেশি পিস্তল, সাত রাউন্ড বন্দুকের গুলি, গুলির খোসা ও কয়েকটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ হরেন্দ্রনাথ সরকারসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তবে আটকৃত নাজমা বেগমকে পুলিশ ছেড়ে দেয় বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট ‘সুন্দরবনে বাঘ হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া হয়, পাচারের সময় ৬৯ টুকরো হাড়সহ দুজন গ্রেফতার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, সুন্দরবনের গহিন বনে প্রায় ছয় মাস আগে একটি বাঘ হত্যার পর মাটিচাপা দেওয়া হয়। এর আগে চামড়া ও মাংস পাচার করা হয়। এরপর হাড়গুলো মাংস ও রক্ত থেকে আলাদা হলে মাটি থেকে তুলে পাচারের চেষ্টা করা হয়। সে সময় বাঘের ৬৯ টুকরো হাড়সহ এনায়েত হোসেন ও বাবু নামে দুই পাচারকারীকে নগরীর নতুন বাজার লঞ্চঘাট থেকে খুলনা সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। তবে পাচার চক্রের মূলহোতা আব্দুল হান্নান পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।