সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সরকারি বিধি মেনে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে


558 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সরকারি বিধি মেনে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে
মার্চ ১২, ২০১৮ ফটো গ্যালারি সাতক্ষীরা সদর
Print Friendly, PDF & Email

॥ বিশেষ প্রতিনিধি ॥
——————————–
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে কোনো ধরনের অসাধু উপায় অবলম্বন করা হয়নি। এই নিয়োগে আইনগত কোনো বিধিনিষেধ নেই। এমনকি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর প্রধান শিক্ষক নিয়োগে কোনো ধরনের আপত্তিও তোলেনি।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আজিজুর রহমান। তিনি বলেন সরকারি বিধি মেনেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় শ্যামনগর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই নিয়োগ পরিক্ষার দিন ও সময় নির্ধারন করা হয়েছে। এতে মহাপরিচালকের প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাই উপস্থিত থাকবেন।
মো. আজিজুর রহমান বলেন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রশ্নে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ক্যাটেগরির সদস্য এসএম রবিউল ইসলাম একবার ধুয়া তোলেন যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিয়োগে বিলম্ব করা হচ্ছে। কিছুদিন পর তিনি আবার ভোল পাল্টে বলেন নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ। সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার নিয়োগের পক্ষে মতামত প্রদান করেছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন এ ব্যাপারে কোনো বাধানিষেধ নেই। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরও বলেন কমিটির সদস্য রবিউল ইসলাম আদালতে একটি মামলা ঠুকে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন নি। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে অভিযোগ করেছিলেন । সেখান থেকেও নিয়োগ বন্ধের নির্দেশ আসেনি। এমনকি যশোর শিক্ষাবোর্ডও এ ব্যাপারে অনুকূল অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন এই নিয়োগ তড়িঘড়ি করে হচ্ছে না । সব বিধি মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান। তিনি আরও বলেন ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ ১৮ মে পর্যন্ত রয়েছে। আবেদনকারী দুই শিক্ষক দুলাল কৃষ্ণ মিস্ত্রি ও আরিফা এদিব চৌধুরীর কাছে ডাকযোগে প্রবেশপত্র পৌছালেও তারা ইচ্ছা করেই গ্রহন করেন নি। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডাকবিভাগের পিয়ন। তিনি আরও বলেন কোনো বিশেষ ব্যক্তিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের কোনো অসাধু ইচ্ছা নিয়োগ বোর্ড ও ম্যানেজিং কমিটির নেই। এ ব্যাপারে রবিউল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে যা বলেছেন সবই মিথ্যা ও বানোয়াট। সংবাদ সম্মেলনে আজিজুর রহমান আরও বলেন জেলা প্রশাসক বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারের ওপর দায়িত্ব দিয়েছেন। অথচ জেলা শিক্ষা অফিসার নিয়োগের ব্যাপারে ইতিবাচক নির্দেশ দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ১১ সদস্যের ১০ জনই নিয়োগের পক্ষে। কেবলমাত্র রবিউল ইসলামই তারা ব্যক্তিগত সুবিধা আদায়ের জন্য পানি ঘোলা করছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি । প্রধান শিক্ষক নিয়োগে কোনো ধরনের অনিয়মের সুযোগ নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
##