
সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং প্রতি বছর ল্যাট্রিনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘উত্তরণ’। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে উত্তরণ পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া প্রেসক্লাবের হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। উত্তরণ এর পরিচালক শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংস্থাটির প্রজেক্ট এন্ড এডভোকেসি অফিসার (পি.ও টি এন্ড এ) শেখ রুসায়েদ উল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়- ‘বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের উপকূলীয় অঞ্চল তথা সাতক্ষীরা, খুলনা, বরগুনা, পটুয়াখালী জেলা দুর্যোগপ্রবণ অতি ঝুঁকিপূর্ণ জেলা। এ অঞ্চলের অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো সুপেয় পানির সংকট। এ এলাকার ৬৭ লক্ষ অধিবাসীর মধ্যে প্রায় ৫৫ লক্ষ অধিবাসী এ সমস্যা দ্বারা আক্রান্ত। সুপেয় পানি সংকটের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের দুর্যোগ ও জলাবদ্ধতার সময় এ এলাকার স্যানিটেশন ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।’ ‘এ এলাকায় ভূ-গর্ভস্থ জলাধার বা পানির স্তরের অভাব রয়েছে। এ এলাকাটি ব-দ্বীপের নিন্মাংশ হওয়ায় সুক্ষ্ম দানার পলি দ্বারা এর ভূমি গঠিত হয়েছে। সেকারণে এ এলাকার অধিকাংশ স্থানে ভূ-গর্ভে প্রায় ১২০০ ফুটের মধ্যে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর বা জলাধার পাওয়া যায় না। যদিও কোন জায়গায় জলাধার বা পানির স্তর (একুইফার) পাওয়া যায় তাতে দেখা যায় ঐসব জলাধারের অধিকাংশ আয়রণ আর্সেনিক যুক্ত অথবা নোনা পানি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়- ‘এই এলাকার ভূমি গঠন ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যকে বিবেচনায় না নিয়ে সরকার দেশের অন্যান্য অংশের মতই এই অঞ্চলেও গভীর ও অগভীর নলকূপ নির্ভর প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। খাবার পানির সংকট সমাধানের জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতি বছর অর্থ বরাদ্দ করে থাকে। কিন্তু এলাকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ভিন্নতর হওয়ার কারণে সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ এবং পানীয় জলের সংকট নিরসনে ব্যবহৃত এ সকল প্রযুক্তি খুব একটা কাজে লাগে না। কিন্ত অতীব দুঃখের বিষয় সমস্যাটি সমাধানের জন্য এই পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে বড় ধরণের কোন গবেষণা বা হাইড্রোলজিক্যাল সার্ভে করা হয়নি। সেকারণে এ অঞ্চলে বসবাসরত লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য সরকারীভাবে লাগসই কোন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও তার প্রচলন ঘটেনি।’
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উত্তরণের কলাপাড়ার প্রতিনিধি প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ হাসিব-উজ-জামান ও ফিল্ড ফ্যাসালিটর (এফ.এফ) মোঃ শাহীন ইকবাল। সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ হুমায়ূন কবীর, সাধারণ সম্পাদক এস,এম মোশারফ হোসেন মিন্টু, শামসুল আলম, মোহসীন উদ্দীন, অমল মুখার্জী, নেছারউদ্দিন আহমেদ টিপু, মেজবাহউদ্দীন, মোঃ শরিফুল হক শাহীন, বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, নূরুল কবীর ঝুনু, এনামুল হক, অশোক মুখার্জী, জীবন কুমার মন্ডল, দেলওয়ার হোসেন, বিপুল হাওলাদার, মোঃ বশির উদ্দিন বিশ্বাস, মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ গোফরান বিশ্বাস, জসীম পারভেজ, হাসান পারভেজ, মিলন কর্মকার রাজু প্রমুখ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি