
অনলাইন প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দর অনেক কমলেও এতদিন ধরে না করে আসার পর এবার দাম সমন্বয় করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্থানীয় বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হবে বলে রবিবার জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
এক বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমতে থাকায় এটা স্পষ্ট, মূল্য সমন্বয় করলে বাংলাদেশের বাজারে তেলের দাম কমবে।
সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সফররত আইএমএফ নির্বাহী পরিচালক রাকেশ মোহনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুহিত বলেন, ”ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে জ্বালানি তেলের দাম ভালোই কমেছে। আমাদেরকেও রিভাইজড করতে হবে।”
”সে জন্য জ্বালানি বিভাগকে সার্বিক বিষয় বিশ্লেষণ করে একটা পেপার তৈরি করতে বলা হয়েছে। তারা পেপারটি তৈরি করলে সেই পেপারের আলোকেই অয়েল প্রাইস পুনর্নির্ধারণ করা হবে।”
কবে তা করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ”জ্বালানি বিভাগ পেপারটি তৈরি করুক। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ২৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র যাবেন, আমিও যাব। তার আগেই তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হবে।”
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের শুক্রবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে কমতে কমতে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৪০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। ২০০৯ সালের মার্চের পর এই প্রথম জ্বালানি তেলের দাম এত নিচে নামল।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাজার ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটে (ডব্লিউটিআই) গত শুক্রবার প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ৩৯ ডলার ৮৬ সেন্ট।
ইউরোপের বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামও ২০০৯ সালের মার্চের পর্যায়ে নেমে এসেছে। শুক্রবার প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয় ৪৫ ডলার ৪৬ সেন্টে।
তবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কমলেও স্থানীয় বাজারে কমায়নি সরকার।