
ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডেস্ক :
মাত্র কিছুদিন আগে ব্রিটিশ রাজ্যসভায় তিন বাঙালি নারীর জয়ের আনন্দে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ বাংলাদেশীরা নিজ যোগ্যতায় সারা বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন আরও অনেক বাঙালি আছেন যারা বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সামনে তুলে ধরছেন তাদের যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে। তাদেরই একজন নোয়াখালীর ছেলে শোভন চৌধুরী। তিনি সুইডেনের সোদারটন হগস্কলা ইউনিভার্সিটিতে মিডিয়া এণ্ড কমিউনিকেশনসে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত বিশ্বের অন্যতম বৃহত্ ছাত্র সংগঠন সুইডেনের আইজ্যাক স্টকহোমের প্রথম বাঙালি ছাত্র, যিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট অব কমিউনিকেশন্স হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত।
সুইডেনে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অবস্থান তুলে ধরার ব্যাপারেও কাজ করছেন শোভন। পড়াশোনার বাইরেও কাজ করছেন বিভিন্ন ধরনের রিসার্চ নিয়ে। মাত্র কিছুদিন আগে বাংলাদেশের বাউল সম্রাজ্ঞী মমতাজের উপর ‘স্টেজ টু পার্লামেন্ট’ শিরোনামে ব্যতিক্রমধর্মী একটি প্রেজেন্টেশন দিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। শোভনের নানামুখী কাজ সেখানকার বাঙালি শিক্ষার্থীদের বেশ অনুপ্রাণিত করে। তাদের যেকোনো সমস্যায় শোভনের দারস্থ হলেই যেন সমস্যার সমাধান! আর ভীষণ আমুদে স্বভাবের এই ছেলেটাকে ছাড়া সেখানকার বাঙালি ছাত্রদের আড্ডার ষোলকলা যেন কোনভাবেই পূর্ণ হয় না। নানা রকম ব্যস্ততার জন্য খুব বেশি অবসর পাওয়া যায় না। তবে খানিক অবসর পেলে গিটারের টুং-টাং আর গলা ছেড়ে গান করার সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ। কখনো আবার ক্যামেরা নিয়ে ছবি তুলতে ছুটে যান। শখের কথা জানতে চাইলে জানালেন, তার ভ্রমণ প্রিয়তার কথা। বাংলা, ইংরেজি ছাড়াও সুইডিশ, চাইনিজ, জাপানিজ, জার্মান আর হিন্দি ভাষায় বেশ ভালোই দখল আছে তার। সেখানে বাঙালি ছাত্রছাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধা এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশীদের সেখানে পড়তে যাওয়ার জন্য আরও বেশি সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছেন। তার ব্যক্তিগত সহযোগিতায় অনেকেই এখন সুইডেনে স্কলারশিপ নিয়ে লেখাপড়া করছেন। দেশকে নিয়ে তার পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে গতানুগতিকতার বাইরে শোনালেন একটু অন্য রকম কথা। ‘বিদেশে লেখাপড়া করে সবাই দেশে ফিরে যাবার প্রতিশ্রুতি দিলেও অধিকাংশ সময়ই আমরা দেশের বাইরেই স্থায়ীভাবে বসবাস করি। আমি মনে করি, দেশের বাইরে থেকেও দেশের জন্য কাজ করা সম্ভব। কে, কি ভাবে, কি কাজ করবে তার উপর এটা নির্ভর করে। তাই আপাতত লেখাপড়া শেষ করে এখানে থেকেই দেশের জন্য কাজ করার ইচ্ছা আছে। তবে সুযোগ পেলে অবশ্যই দেশে গিয়ে কিছু করার ইচ্ছা আছে।’