
স্টাফ রিপোর্টার ::
নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা হেযবুত তওহীদ নেতৃবন্দ। বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান হেযবুত তওহীদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি সেখ মনিরুল ইসলাম। এসময় সংগঠনের জেলা শাখার অন্যান্য নেতৃবন্দও উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, হেযবুত তওহীদ একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন। ১৯৯৫ সালে আন্দোলন প্রতিষ্টার পর থেকে গত ২৩ বছর কোন প্রকার আইনভঙ্গ না করে আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিঃস্বার্থভাবে ধর্মব্যবসা, অপরাজনীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ইত্যাদির বিরুদ্ধে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা তুলে ধরে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। কিন্তু শুরু থেকেই এক শ্রেণীর ধর্মব্যবসায়ী এই আন্দোলনের বিরোধিতা করে অপপ্রচার চালিয়ে মানুষের ধর্মানুভূতিকে আমাদের বিরুদ্ধে নিয়ে আমাদেরকে হামলা করতে উস্কানি দিয়ে এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণীর লোকেরা নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর বর্বর হামলা চালায়। তাদের উস্কানিতে স্থানীয় জামায়াত, শিবির, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, হেফাজতে ইসলামের সন্ত্রাসীরা নির্মাণাধীন মসজিদ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। তারা পুলিশের উপস্থিতিতেই হেযবুত তওহীদ সদস্য মো. সোলায়মান খোকন ও ইব্রাহিম রুবেলকে জবাই করে ও গায়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এঘটনায় স্থানীয় থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার অধিকাংশ আসামিদেরকে এখনও আইনের আওতায় আনা হয়নি। যাদের আনা হয়েছে তারাও আল্প সময়ের ব্যবধানে জামিনে বেরিয়ে এসেছে এবং সকল আসামি এলাকায় দাপটের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা আবারও অনুরূপ ঘটনার পুনারাবৃত্তি করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ হেযবুত তওহীদ সদস্যদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরুন প্রাদন ও পুনর্বাসন করার পাশাপাশি হত্যা মামলার সকল আসামিনহ যারা ঘটনার পূর্বে নাম ঠিাকানাবিহীন উস্কানিমূলক হ্যান্ডবিল বিতরণ করেছিল তাদেরকেও দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
##