
অনলাইন ডেস্ক ::
কার্ফু ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠগুলির ডাকা হরতালের ফলে উপত্যকার স্বাভাবিক জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রবিবার ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৩ জন জঙ্গি ও চার সাধারণ মানুষের মৃত্যুর প্রতিবাদে সোমবার হরতালের ডাক দেয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি। স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কায় এদিন শ্রীনগরের সাতটি থানায় কার্ফু জারি করে নিরাপত্তাবাহিনী।
একদিকে হরতাল ও অন্যদিকে কার্ফু-এই দুইয়ের ফলে সাধারণ মানুষকে রাস্তায় নামতে দেখা যায়নি। দোকান-বাজার, অফিস, ব্যাংক, পেট্রোল পাম্প, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবকিছুই ছিল বন্ধ। স্থগিত রাখা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। অশান্তির আশঙ্কায় বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। রাস্তাঘাটে ছিল না কোন যানবাহন, ফলে ট্রাফিক ব্যবস্থাও ছিল মরুভূমির মতো ফাঁকা। আর যানবাহন হীন সেই রাস্তায় ক্রিকেট ব্যাট-বল হাতে নিয়ে খেলতে দেখা গেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের।
গত শনিবার রাত থেকেই অনন্তনাগ ও সোপিয়ান জেলার তিনটি জায়গায় অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। একে ১৩ জঙ্গি ও ৩ সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়। দুই পক্ষের সংষর্ষের মধ্যে চার সাধারণ নাগরিকেরও মৃত্যু হয়। এদিকে জঙ্গি নিহতের পরই নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে কাশ্মীরের বিক্ষোভকারীরা। পাল্টা নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকেও প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়।
এদিকে অশান্তিতে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে সোমবার সকালে জেকেএলএফ প্রধান ইয়াসিন মালিককে আটক করা হয়। সৈয়দ আলি গিলানি, মীরওয়াইজ ওমর ফারুক সহ অন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের আগে থেকেই গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।