
শেখ আসাদুজ্জামান (মুকুল) দরগাহপুর
আবশেষে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে দরগাহপুর কলেজের বিতর্কিত সভাপতি শামিনুর রহমানরে নিয়োগ স্থগিত করে পূর্বের সভাপতি রবিউল ইসলাম সিদ্দিকীকে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ-তারিখ পর্যন্ত বহাল রেখে গত ৮/৩/২০১৬ তারিখে চিঠি ইস্যু করেছে যশোর শিক্ষা বোর্ড যার স্মরক নংঃ ক/আ/৮৮(০২)/২১২(৬)/৩। এ ব্যাপারে সভাপতি রবিউল ইসলাম সিদ্দিকী আমাদের জানিয়েছেন “দুর্নীতিবাজ আধ্যক্ষ জুলফিকার বোর্ডের এই চিঠি কে গায়েব করে দিয়েছিল, পরে আমরা তা বোর্ড থেকে তুলেছি”। তিনি আরো বলেন আধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানের সকল আর্থ লুটপাট করে খাচ্ছে এবং নিজের অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য কিছু দালালকে সে মাসে প্রতিষ্ঠান হতে চাদা দেয়”। এছাড়াও “সে আমার স্বাক্ষর জাল করে তার আস্তাভাজন একজনকে অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎসাহী সদস্য বানায়”। এমনকি তার লুটপাট, দুর্নীতি এবং বিভিন্ন জালিয়াতি ধরে ফেলায় সে আমাকে বাতিল করে সাংসদ সদস্যের ডি.ও লেটারকে অগ্রাহ্য করে তার ব্যাক্তিসার্থ চরিতার্থ করার জন্য অবৈধভাবে উল্লেখিত ব্যাক্তিকে সভাপতি করে আনে। উল্লেখ্য যে, গত ৩১/০১/২০১৬ ইং তারিখে রবিউল ইসলাম সিদ্দিকীর করা রিট আপিলের প্রেক্ষিতে গত ২০/০১/২০১৬ইং তারিখে যশোর শিক্ষা বোর্ড হতে দরগাহপুর কলেজের নিয়োগ প্রাপ্ত সভাপতিকে তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষনা করেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট , হাইকোর্ট বিভাগের দুই বিচারপতি মোঃ আসফাকুল ইসলাম ও জাফর আহম্মেদের বেঞ্চ এবং সেই সাথে বর্তমান সভাপতিকে কেন অবৈধ ঘোষনা করা হবেনা , তার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে যশোর বোর্ডের কলেজ পরিদর্শকের প্রতি রুল জারি করেন আদালত যার রিট পিটিশন নং ৯৪৮/২০১৬।এই ব্যাপারে অধ্যক্ষের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।