
মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ নাসিম এমপি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অপার সম্ভাবনায় ঈর্ষান্বিত হয়ে পাকিস্তান ও তাদের এদেশীয় এজেন্ট বিএনপি-জামাত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃতে ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে আমরা পাকিস্তানকে পরাজিত করেছিলাম, ইনশাল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাকিস্তান ও তাদের এদেশীয় এজেন্টদের বাংলাদেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মানব বন্ধন কর্মসূচী সফল করার লক্ষ্যে শুক্রবার সকাল সাড়ড় দশটায় যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগের যৌথ প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথি মোঃ নাসিম বলেন, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুষ্ঠুগ্রহ। এই দুষ্ঠুগ্রহের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে না পারলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা পদে পদে বিঘিœত হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বপ্ন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
প্রধান অতিথি বলেন, ১/১১ র সময় মাহফুজ আনাম জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা খবর প্রকাশ করেছিলেন। যার কারণে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অন্যায়ভাবে জেলে পাঠানো হয়েছিল। এই মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের অপরাধে মাহফুজ আনামকে ডেইলী স্টারের সম্পাদকের পদ থেকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।
বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, ৭১এর খুনীদের রায়ের বিরুদ্ধে পাকিস্তান জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপিত হওয়ায় প্রমাণিত হয়েছে বিএনপি এবং জামাত পাকিস্তানের এজেন্ট। পাকিস্তান এখনো ৭১র পরাজয় ভুলতে পারে নাই, তাই একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বিএনপি-জামাতকে দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কোন ষড়যন্ত্র স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না।
বিশেষ অতিথি বলেন, স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক, সামাজিক সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের থেকে অনেক এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল আর পাকিস্তান এখন ব্যর্থ রাষ্ট্র । এটাই পাকিস্তানের গাত্রদাহের কারণ।
তিনি বলেন, ১৫ তারিখের মানববন্ধন কোন ব্যক্তি বা দল বিশেষর বিরুদ্ধে নয়, বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তান ও তাদের এদেশীয় এজেন্টদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এই মানববন্ধন। এটা সমগ্র বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের মানববন্ধন।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, প্রচলিত রাজনীতির বাইরে গিয়ে যুবলীগ মেধা ও মননের চর্চা করছে, বই প্রকাশ করছে, বঙ্গবন্ধু ও রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জীবন ও রাজনীতি নিয়ে গবেষণাধর্মী বই প্রকাশ করে জনগণের কাছে তাঁদের আদর্শকে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কটুক্তি করে বিএনপি নেত্রী তার নগ্ন রুপ জনগণের সামনে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন, তিনি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মান করেছেন। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর হঠাৎ মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে বিএনপি নেত্রী পাকিস্তানের এজে-া বাস্তবায়নের অপচেষ্ঠায় লিপ্ত হয়েছেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন বিজয়ের মাসে বাঙ্গালীর হৃদয়ের গভীরে নিষ্ঠুর নিদারুন আঘাত হেনেছে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৪ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে খালেদা জিয়ার অমার্জনীয় উক্তি দেশের সর্বস্তরের মানুষকে হতবাক ও স্তম্ভিত করেছে। বেগম খালেদা জিয়া এই নির্মম মিথ্যাচার দেশের মানুষ প্রচন্ড ক্ষোভে বিক্ষোভে ফুঁেস উঠেছে। শহীদদের সংখ্যা নিয়ে এমন চরম বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন উত্থাপন করে বিএনপি নেত্রী তার নগ্নরূপকে জাতির কাছে প্রকাশ করলেন, কেন এটা করলেন এটাই প্রশ্ন।
বাস্তবে বাংলাদেশে পাকিস্তানীদের মাদার পার্টি জামাত ইসলাম ও তার সিস্টার অর্গানাইজেশন বিএনপি ও তাদের কোলন জাতীয় পার্টি এরা সবাই পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আই এস আই এর তথাকথিত রাজনৈতিক মুখপাত্র মাত্র। এরা বাস্তবে আই এস আইয়ের সুতায় বাধা পুতুল। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ জংলী রাষ্ট্রে পরিনত করতে হলে এই দেশে অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া আর অন্য কোন পথ নাই। তাহা বাস্তব সত্য। আইএসআই বুঝে গেছে বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচিত হলে আরো সংকটে পরবে ক্ষমতায় টিকতে পারবে না। যুদ্ধাপারাধীদের বিচার করতে হবে জামাতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিএনপির বক্তব্যগুলো যদি আপনি দেখেন বিএনপির সিনিয়ার নেতা এড. মাহাবুব হোসেন বলেন বাসায় থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন আমি বাসায় থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের অনুকুলে মামলা লড়েন মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অবস্থান করেছেন।
১৪ ফ্রেরুয়ারী ভালবাসা দিবস এই দিন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ নেতাকর্মীরা পারস্পারিক শুভেচ্ছা শ্রদ্ধা ভালবাসার দিনের সূচনা ঘটাবে ৩২নং বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে সর্বশেষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটবে।শ্লোগান হবে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের ডাক রাজনৈতিক নেতা কর্মী ও জনতার মাঝে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলুন। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিশ্বশান্তির দর্শন জনগণের ক্ষমতায়ন সুদৃঢ় করুন। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বয়ে আনুক রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও জনতার মাঝে সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন, আসুন সকলে মিলে সুদৃঢ় করি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিশ্বশান্তির দর্শন জনগনের ক্ষমতায়ন নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা বিনিময় এবং জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে প্রত্যেক যুবলীগ নেতা-কর্মী ধানম-ি ৩২ নম্বরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান হিরণ, আনোয়ারুল ইসলাম, এড. মোতাহার হোসেন সাজু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাট, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ আতাউর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, মঞ্জুর আলম শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক, মুহাম্মদ বদিউল আলম, আসাদুল হক আসাদ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, সফিকুল ইসলাম, উপ-সম্পাদক মতিউর রহমান বাদশা, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, শ্যামল কুমার রায়, জেসমিন শামীমা নিঝুম, নাসরিন সুলতানা ঝরা, সহ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মোয়াজ্জেম হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা রওশন জামির রানা, মনিরুল ইসলাম হাওলাদার প্রমুখ।
প্রেসবিজ্ঞপ্তি