২০২৪ সালের মধ্যেই দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে: অর্থমন্ত্রী


346 বার দেখা হয়েছে
Print Friendly, PDF & Email
২০২৪ সালের মধ্যেই দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে: অর্থমন্ত্রী
মার্চ ১৫, ২০১৮ জাতীয় ফটো গ্যালারি
Print Friendly, PDF & Email

অনলাইন ডেস্ক ::
বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ‘ফাইন্যান্স ফর সাসটেইনেবল গ্রোথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ১৭টি শর্ত পূরণের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০৩০ সাল। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত দারিদ্র্যমুক্তি যা ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পূরণে সক্ষম হবে। ১৯৮৪ সালে জাতিসংঘের পরিবেশ নিয়ে আলোচনার উদ্যোগের পর থেকে এসডিজি সারাবিশ্বে গুরুত্ব পায়। বাংলাদেশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে ছিল। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণেও বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সময়ে আমরা যে সুযোগ পেয়েছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এর চেয়েও বেশি সুযোগ-সুবিধা রেখে যেতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সবাইকে সম্পৃক্ত এবং এর ফল সবাইকে ভোগ করতে হবে। বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে প্রবৃদ্ধির মাত্রা ১০ শতাংশে পৌঁছাতে হলে সব জেলায় রাষ্ট্রের জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনায় তৎপর হতে হবে। শুধু ঢাকাকে কেন্দ্র না করে সারাদেশে এসব কার্যক্রম পৌঁছে দিতে হবে।’

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামীম উদ্দীন খানের সভাপতিত্বে সেমিনার উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। পরে নেপালের কাঠমান্ডুতে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ সচিব মো. মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী, চবির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ এফ এম আওরঙ্গজেব।

মূল পর্বে কি-নোট স্পিকার ছিলেন ভারতের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. উদিত কুমার রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বাকী খলিলী ও আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম মহিউদ্দিন। এ ছাড়া সেমিনারে ১১ বিদেশিসহ মোট ৯৫ জন গবেষকের ৬১টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।