পলাশ কর্মকার, কপিলমুনি ::
ঘরে চাল নেই, তবুও দিতে হয় কিস্তি, রান্না ঘরেতে তিনটা সাজ নিয়মিত চুলা জলে না, অর্থকষ্টে দিনাতিপাত করতে হয় কপিলমুনি এলাকার এক শ্রেণীর বৃহত্তর জনগোষ্টীর, তারপর আবার এনজিও ঋণে জড়িয়ে অসংখ্য দরিদ্র পরিবার সর্বশান্ত হতে চলেছে। তাই ঋণ পরিশোধে ব্যর্থদের নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, কপিলমুনি অঞ্চলের অসংখ্য দরিদ্র মানুষ এনজিও ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছে। গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্টীর শতকরা ৪৫ ভাগই এনজিও থেকে ঋন গ্রহন করেছে। অভাবের তাড়নায় ঋণ নিয়ে অধিকাংশরাই বর্তমানে ঋণ খেলাপী, কারণ তাদের ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য নেই। কেউ কেউ একটা ঋণ শোধ করতে অন্য এনজিও থেকে ঋণ নিচ্ছে, ফলে ঋণ শোধ হচ্ছে না ; আবার অন্যএকটা ঋণের বোঝা বেড়ে যাচ্ছে। এভাবেই এ এলাকার দরিদ্রদের ঋণের বোঝা দিন দিন ভারি হচ্ছে। এনজিও কর্মীদের চাপের মুখে অনন্যপায় হয়ে কখনো ঘরের চাল বিক্্ির, আবার কখনো ঘরের দ্রব্যাদী বন্ধক রেখে কিস্তি দিচেছন কেউ কেউ। একের পর এক ঋণগ্রস্ত হয়ে শেষ সম্বল ভিটেমাটি টুকুও ছাড়তে হচ্ছে তাদের।
হরিঢালীর রবিউল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন ,“এনজিওর টাকা তুলি শোধ করতি না পাইরে গরু বেচি দিচি”। কপিলমুনির ৭২ বছর বয়সী ছবের আলী বলেন, “চারটে এনজিওতি লোন নিছি; নিয়ে কিস্তি তো চালাতি পারি নে, আর তিন বিলা ভাতও জোটে না”। মামুদকাটী এলকার নেছার আলী বলেন“ কিস্তি দিতি লেট করলি য্যাচ্ছিতাই গালাগালি করে, কেছ কুরার ভয় দিকায়”।
এই হলো এ অঞ্চলের ঋণগ্রস্ত ছবের আলীদের ঋণ নেওয়ার পরিণতি। নিজেদের ভাগ্যন্নোয়নের জন্য ঋণ নিয়ে এসব অসহায় মানুষের ভাগ্যের উন্নতি তো হয়নি ; বরং তাদের অসহায়াত্ব ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এলাকায় দারিদ্রতার হার আরো বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন সচেতনরা।
##