এস,কে হাসান ::
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে লবণাক্ত এলাকায় অমৌসুমি তরমুজ চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন কৃষকরা। এই অসময় তরমুজ পেয়ে যেমন তৃপ্ত হচ্ছে মানুষ, তেমনি ভাল মূল্য পেয়ে লাভবান হচ্ছে চাষিরা। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ফকড়াবাঁদ গ্রামের সোহরাব হোসেন তার মৎস্য ঘেরের আইলে অমৌসুমি তরমুজ চাষ করেছেন। প্রতিটা তরমুজের ওজন প্রায় তিন থেকে চার কেজি। সোহরাব হোসেন লবণাক্ত এলাকায় কৃষি বিষয়ক কারিগরি সেবার মাধ্যমে একই জমিতে বছর ব্যাপী বিভিন্ন রকম ফসলের চাষ করতে উদ্বুদ্ধ হয়। তিনি চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রায় ১০ বিঘা জমির আইলে অমৌসুম জাতের তরমুজ— গোল্ডেন ক্রাউন, বিগ বাইট,এবং ব্লাক জায়েন্ট চাষ করেছেন। এতে তার আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এবং তিন মাসে তরমুজ বিক্রির উপযোগি হয়েছে। এখন তার তরমুজ ক্ষেতে প্রায় ২০০০টি বেশি তরমুজ আছে। এসব তরমুজ খেতে খুবই সুস্বাদু এবং দেখতেও বেশ দৃষ্টিনন্দন। স্থানীয় বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি তরমুজ ৫০—৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এবং তিনি আনুমানিক ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করেন। একই ইউনিয়নের হেতাইলবুনিয়া ,বামনডাঙ্গ ও গোয়ালডাঙ্গায় অনেকে একই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেছেন বলে জনা গেছে। ইতিমধ্যে তারাও ফসল বাজারে তুলতে শুরু করেছেন। একই সাথে তারা জমির আইল ও বাঁধে মিষ্টি কুমড়া, লাউ, ঢেঁড়শ, করলা এবং জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। সামনের শীত মৌসুমে বোরো ধান, তরমুজ, সরিষা, এবং বাঁধে ১২ মাস সবজী চাষ করবেন বলে জানান।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা বলেন, অমৌসুমি তরমুজ চাষ করে আমার এলাকার মানুষ উপকৃত ও সাবলম্বী হচ্ছে। ইতিমধ্যে তাদের সফলতা দেখতে পেয়ে আমি আনন্দবোধ করছি। অমৌসুমী তরমুজ হওয়ায় স্থানীয় বাজারে চাহিদাও ব্যাপক। তিনি স্থানীয় কৃষি বিভাগকে তাদের পাশে থাকতে অনুরোধ জানান ।
উপজেলা কৃষি কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলাম বলেন,এ অঞ্চলের মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। চাষি সোহরাব সহ উপজেলার বড়দল ও বুধহাটা ইউনিয়নে অসময় তরমুজ চাষ হয়েছে। তাদেরকে বীজ ও
প্রয়োজনীয় পরামর্শ, সহযোগীতা দেওয়া হয়েছে। চাষীরা আমাদের দেওয়া জাতের বীজর তরমুজ চাষের পাশাপাশি অন্যান্য সবজি চাষও করে থাকেন। এভাবে চাষীদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে এলাকার সকল পতিত জমিতে চাষাবাদের মাধ্যমে চাষীদেরকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা যাবে।
##