ডেস্ক রিপোর্ট ::
মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে আজ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মূল উৎসব শুরু হচ্ছে। এর আগে গত ১৪ অক্টোবর শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা। ১৯ অক্টোবর মহাপঞ্চমীতে হয়েছে দেবীর বোধন। আর ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দেবীর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ইতি ঘটবে শারদীয় দুর্গোৎসবের। উপজেলার সব পূজামন্ডপ ঘিরে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সনৎ কুমার গাইন ও সাধারণ সম্পাদক গ্রামডাক্তার মিলন কুমার ঘোষ জানান, এ বছর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে মোট ৫১টি মন্ডপে সার্বজনীন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। বিগত বছরের ন্যায় এবারও সর্বাধিক ৮ টি মন্ডপে পূজা হচ্ছে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে। এছাড়া কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে ২টি, চাম্পাফুল ইউনিয়নে ৬টি, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে ৪টি, কুশলিয়া ইউনিয়নে ৭টি, নলতা ইউনিয়নে ২টি, তারালী ইউনিয়নে ৪টি, ভাড়াশিমলা ইউনিয়নে ৩টি, মথুরেশপুর ইউনিয়নে ৫টি, ধলবাড়িয়া ইউনিয়নে ৪টি, রতনপুর ইউনিয়নে ৩টি এবং মৌতলা ইউনিয়নে ৩টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠুভাবে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সভা করে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকারি অর্থসহায়তাও পাওয়া গেছে। পূজা মন্ডপসমূহে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সরেজমিন বিভিন্ন পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি মন্ডপের সম্মুখে গেইট ও মনোরম প্যান্ডেল, প্রতিমার সাজসজ্জাকরণ শেষ হয়েছে যথাসময়ে। এবছর নলতা ইউনিয়নের নলতা কালীবাড়ি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজার সর্ববৃহৎ আয়োজন করা হয়েছে। এখানে দেবী দুর্গাসহ মোট ৫৯টি প্রতিমা স্থাপন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জাতীয় হিন্দু মহাজোট কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সঞ্জয় কুমার ঘোষ জানান, দুর্গাপূজা পাঁচ দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়। মা দুর্গার অর্চনার পাশাপাশি একই মঞ্চে দেবী মা লক্ষী, মা সরস্বতী এবং দেবতা শ্রী গণেশ ও শ্রী কার্তিকেরও পূজা করা হয়। এ সময়টাতে ঢাকের বাদ্য আর শিউলি ফুলের মিষ্টি গন্ধে মাতোয়ারা হয় সনাতন ধর্মাবলম্বী সকল বয়সের মানুষ। দেবী দূর্গা এবার ‘ঘোটক’ এ চড়ে মর্তালোকে আগমণ করবেন এবং ঘোটকেই ফিরে যাবেন স্বর্গলোকে।