আর.কে.বাপ্পা, দেবহাটা ::
দূর থেকে মনে হচ্ছে ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়ে তৈরি একটা মন্দির। কিন্তু সামনে গিয়ে দেখা যায় স্প্রিড, টাইগার ও ক্লেমনের প্লাস্টিকের পট দিয়ে তৈরি গেট। যা দূর থেকে এবং সামনে থেকে দেখে সবার মন কাড়ছে। সেই সাথে পূজার প্রথম দিনেই মানুষের পদচারনায় মূখর হচ্ছে পারুলিয়া দাশ পাড়া দুর্গা মন্দির। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া দাস পাড়াতে ভারতের কেদারনাথ মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে প্লাস্টিক পানীয় সামগ্রিই বোতলের তৈরি গেট। মনে হচ্ছে ভারত থেকে যেন ওই মন্দির ৫ দিনের জন্য পারুলিয়া দাশপাড়াতে অবস্থান করানো হয়েছে। ভারতের কেদারনাথ মন্দিরকে ঘিরে সব কিছুই এখানে করা হয়েছে। যা দেখে সবার মন কেড়েছে।
প্রবেশ দ্বার ভয়ংকর রাক্ষসের গেট হলেও কিছু দূর পার না হতেই দেখা যায় সেই বোতল দিয়ে নির্মিত স্প্রিড, টাইগার ক্লেমনের গেট। দুর্গাপূজাকে ঘিরে কোথায়ও স্প্রিড, টাইগার ও ক্লেমনের তৈরি গেট আবার কোথায়ও দেখা যায় বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে করা হয়েছে মেট্রোরেলের আদলে গেট। সব মিলিয়ে ফুটে উঠেছে অপার সৌন্দর্য। পূজা কমিটি জানায়, পূজা কমিটির নিজস্ব মতামতের মধ্য দিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ব্যতিক্রমী কিছু উপহার দেওয়ার জন্য তাদের এই ব্যতিক্রম উদ্যোগ। এই গেটটি মূলত ভারতের কেদারনাথ মন্দিরের আদলে করা হয়েছে। এই গেটের সরঞ্জাম হিসেবে লেগেছে এক লক্ষের বেশি স্প্রিড, টাইগার ও ক্লেমনের খালি বোতল। এই ব্যতিক্রমী গেট তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ টাকা এবং ৪১ জনের পরিশ্রমের ফসল এবং তাদের ধারনা এই ব্যতিক্রমী গেট আগে কোথাও দেখা যায়নি। পূজা কমিটির উদ্যেগে এবং তাদের শ্রম আর মেধার বিকাশ ঘটিয়ে পুরো দেড় মাস আগে থেকে এই গেটের কাজ করা হয়েছে। ব্যতিক্রম এই প্লাস্টিক বোতলের পট দিয়ে গেট করার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, এই মন্দিরের গেটটা ভারতের কেদার নাথ মন্দিরের আদলেই করা হয়েছে। আমাদের সাধারণ মানুষের যাওয়া আসার সাধ্যের বাইরে এই কেদারনাথ মন্দির তাই পারুলিয়া দাশপাড়াতে এমনই কেদার নাথ মন্দিরের আদলের তৈরি করা হয়েছে এই ব্যতিক্রম গেট। যা দেখার জন্য পূজার প্রথম দিনেই হাজার হাজার দর্শনার্থী ভীড় করছে বলে মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ জানায়। গেট দেখতে আসা মনিষা বলেন, এমন গেট আগে কোথাও দেখিনি। আমরা সচরাচর কাপড়ের তৈরি গেট দেখি তবে এই প্রথম দেখলাম প্লাস্টিক বোতল দিয়ে তৈরি গেট। যে প্লাস্টিকের বোতল আমরা যেখানে সেখানে ফেলে দিই সেখানে এই গেট দেখে বুঝলাম সব কিছুই কাজে লাগানো যায়। এই গেটটি দেখতে এসে অনেক ভালো লাগছে এবং দেখে অনুপ্রাণিত হলাম বলে মনিষা জানায়।