ডেস্ক রিপোর্ট ::
সাতক্ষীরার পাইকারি মসলা বাজারে তিনদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ-রসুনের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা। গতকাল সাতক্ষীরা জেলা শহরের বৃহৎ বাণিজ্যিক মোকাম সুলতানপুর বড় বাজারের কয়েকটি আড়ত ও বিপণন প্রতিষ্ঠান ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা বলছেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।
সুলতানপুর বড় বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে আসা রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘তিনদিন আগেও যে রসুন কিনেছি ১৮০ টাকা দরে, এখন তা কিনতে হচ্ছে ২১০ টাকায়। একই অবস্থা পেঁয়াজেরও। ৭০-৭৫ টাকার পেঁয়াজ এখন কিনতে হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০৫ টাকায়।’ শুধু পেঁয়াজ-রসুনই নয়, সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম চড়া বলে জানান তিনি।
বড় বাজারের পাইকারি মসলাবিক্রেতা ও আড়তদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স আবির ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী মো. আব্দুল আজিজ জানান, হঠাৎ ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারেও তার প্রভাব পড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়ছে ৯৪-৯৫ টাকা পর্যন্ত। তাছাড়া চাহিদার তুলনায় বাজারে পণ্যটির সরবরাহও কম। এ কারণে গত তিন-চারদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ২৫-৩০ টাকা বেড়েছে। একই অবস্থা রসুনের বাজারেও। তিনি বলেন, ‘পাইকারিতে কেজিপ্রতি ২০-২২ টাকা করে দাম বেড়েছে রসুনের। ১৭৫-১৮০ টাকার রসুন গতকাল পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হয়েছে ১৯০-২০০ টাকা দরে।’
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা কৃষি বিপণন কাজে জড়িত এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমদানি মূল্য বেড়ে যাওয়ায় মূলত পেঁয়াজ ও রসুনের দাম বেড়েছে। তবে কোনো ব্যবসায়ী যাতে করে অতিরিক্ত মুনাফা না নিতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।’ বাজার নিয়ন্ত্রণে তারা মাঝে মধ্যে মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করছেন বলে জানান।