কে এম আনিছুর রহমান ::
দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতি, হরতাল ও অবরোধে জনসাধারণ যখন নাকাল ঠিক সে সময়ে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় গত কয়েকদিন ধরে হাতির পিঠে বসে ২৪ বছর বয়সী এক যুবকের চাঁদাবাজি করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, হাতি প্রতিটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে সোজা দোকানির কাছে। যতক্ষণ পর্যন্ত শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দিচ্ছেন, ততক্ষণ শুঁড় তুলছে না হাতি। টাকা দিলেই শুঁড় তুলে জানাচ্ছে সালাম।
এভাবেই প্রতি দোকান থেকে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। শুধু দোকনই নয়। রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন থামিয়েও নেওয়া হচ্ছে টাকা।
কলারোয়া পৌরসদরের বাজার ও উপজেলার সকল এলাকায় এরকম অভিনব কায়দায় প্রায় সময়ই টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে মির্জাপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম জানান।
শনিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দেখা গেছে, পৌরসদরের বাজারে হাতি দিয়ে টাকা তোলার দৃশ্য। রাস্তার দুই পাশে বাজারের প্রতিটি দোকান থেকে নেওয়া হচ্ছে টাকা।
হাতি দিয়ে গাড়ি আটকিয়ে এমনকি পথচারীদেরেকে জিম্মি করে টাকা আদায় করা হচ্ছে। চাঁদাবাজির এ দৌরাত্ম্য থেকে বাদ পড়ছে না মোটরসাইকেল, সিএনজি ও অটোরিকশা চালকসহ স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরাও। টাকা না দিলে হাতি বিকট শব্দে হুংকার দিচ্ছে এবং যেখানে-সেখানে পায়খানা করে দিচ্ছে।
বাধ্য হয়ে দোকানদার, গাড়ির চালক ও পথচারীরা ভয়ে টাকা দিচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাজমুল নামের এক ব্যবসায়ী। ট্রাক ড্রাইভার মোসলেম বলেন, কয়েকদিন পর পর হাতি নিয়ে চাঁদাবাজি করতে আসে কলারোয়া বাজারে। কেউ
প্রতিবাদ না করায় দিনে দিনে এটা বেড়েই চলেছে। এটা এক ধরনের চাঁদাবাজি।
বিষয়টি খুবই দু:খজনক। তিনি এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন। স্থানীয় এক ইজিবাইক চালক মোস্তফা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাস্তায় প্রায় সময়ই হাতির চাঁদাবাজির কবলে পড়তে হয়। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় এগিয়ে দেয়। টাকা না দিলে সামনে থেকে সরে না। তখন ভয়ে বাধ্য হয়েই টাকা দিতে হয়। হাতির পিঠে বসে চাঁদা আদায় করা যুবকের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। হাতি নিয়ে এভাবে কেন টাকা নেওয়া হচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা না নিলে হাতিকে খাওয়াব কি। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের নিকট আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকার জনসাধারণ।