স্টাফ রিপোর্টার ::
সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনের এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এবং সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর, কালিগঞ্জের একাংশ ) আসনের এমপি এস এম জগলুল হায়দার এবার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। নৌকার মাঝি তারা আর হতে পারলেন না।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মীর মোস্তাক আহমেদ রবির জায়গায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক মো: আসাদুজ্জামান বাবু এবং সাতক্ষীরা-৪ আসনে এস এম জগলুল হায়দারের জায়গায় শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
এদিকে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন।
আর সাতক্ষীরা-৩ ( দেবহাটা, আশাশুনি , কালিগঞ্জের একাংশ ) আসনে চতুর্থ বারের মতো নৌকার মাঝি হয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: আ ফ ম রুহুল হক।
এবার যারা আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছে তাদের মধ্যে ডা: আ ফ ম রুহুল হক ছাড়া বাকী তিন জনই নতুন মুখ।
দলের একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানাগেছে, এবার অনেক বিষয় বিশ্লেষন করেই আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চুড়ান্ত করা হয়েছে। যেসব এমপিকে বাদ দেয়া হয়েছে তাদেরকে আবারও মনোনয়ন দিলে ভোটে ভরাডুবি হতো। তাদের জয়লাভের সম্ভাবনা কম ছিল। সূত্র আরও জানায়, যাদেরকে এবার বাদ দেয়া হয়েছে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে এলাকায় টেন্ডারবাজি, স্কুল-কলেজ-মাদ্রসায় নিয়োগ বাণিজ্য, স্বজনপ্রিতি, জামায়াত-বিএনপি ঘুরোনার মানুষের সাথে চলা-ফেরা, দলের ত্যাগি নেতাদের সাথে সম্পর্ক নারেখে চলাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এদের অনেকেই নিজের আখের গোছানোর জন্য ব্যস্ত ছিল। সাধারন মানুষ এসব এমপিদের ধারে পাশে যেতে ভয় পেত।
##