ডেস্ক রিপোর্ট ::
‘পথের কিনারে দাঁড়িয়ে রয়েছে আমার ধানের ক্ষেত…, আমার বুকের আশা-নিরাশার বেদনার সঙ্কেত।’ বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান। ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় চলতি মৌসুমে ৭ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ এবং হেক্টর প্রতি (৪.২২) চার দশমিক বাইশ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তথ্য সূত্রে, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না স্বয়ং সম্পূর্ণ হবে দেশ সেই লক্ষ্যে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাতক্ষীরার ৭টি উপজেলায় উফশী এবং হাইব্রিড ধান উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় হাইব্রিড ৫,৫০০ হেক্টর এবং উফশী ১৭,৭৫০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন এবং লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কলারোয়া উপজেলায় হাইব্রিড ২,৫০০ হেক্টর এবং উফশী ১০,১৫০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তালা উপজেলায় হাইব্রিড ৭,০০০ হেক্টর এবং উফশী ১৩১৬০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেবহাটা উপজেলায় হাইব্রিড ৩,০০০ হেক্টর এবং উফশী ৩,১৫০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলায় হাইব্রিড ১,৫০০ হেক্টর এবং উফশী ৫,৩৮০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশাশুনি উপজেলায় হাইব্রিড ৪,০৫০ হেক্টর এবং উফশী ৪,২৫০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলায় হাইব্রিড ১০০০ হেক্টর এবং উফশী ১,৪৩০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। হেক্টর প্রতি ফলনের লক্ষমাত্রা হাইব্রিড ৪.৭৮ এবং উফশী ৩.৯ মেট্রিক টন।
এছাড়া সাতটি উপজেলায় উফশী ২,১৯,৪২২ এবং হায়ব্রিড ১,১৭,৩৪৯ মে. টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কোথাও জমি অনাবাদি থাকবে না সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়া আবাদ আরো অনেক বেশি হবে বলে আমরা আশা করছি।
##