অনলাইন ডেস্ক ::
ব্যাংক থেকে যারা লোন নিয়ে পাচার করেছে তাদের তালিকা প্রস্তুত করুন, বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, আমরাও বলব অসহযোগ ডাকবেন, ট্যাক্স যার বাকি ট্যাক্স আদায় করুন, কর্তৃপক্ষকে বলব ট্যাক্স আদায় করুন। যাদের বিল বাকি তাদের বিল আদায় করুন। ব্যাংকে যারা লোন নিয়ে পাচার করেছে, তালিকা প্রস্তুত করুন। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাড়ি ভাড়া বাকি, কার কার বাড়ি ভাড়া বাকি, বাড়ি ভাড়া আদায় করতে বলছি, কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। ট্যাক্স ফাঁকি দিছে যারা তাদের ট্যাক্স আদায় করতে হবে, সাজাও দিতে হবে। আমরা ওই পথেই আছি।
তিনি বলেন, একজন তারেক রহমান টেমস নদীর পাড়ে বসে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। সাহস থাকলে আসুন, অসহযোগ নেতৃত্বের জন্য নেতা তো আসতে হবে। পলাতক নেতা কি করে নেতৃত্ব দেবে। তাকে আসতে হবে, মানুষকে মোকাবিলা করুন, রাজপথে আসুন, জেলে যাওয়ার সাহস অর্জন করুন, তা না হলে জীবনেও নেতা হতে পারবেন না।
রিমোট কন্ট্রোল নেতাকে জনগণ কখনো মানে না জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, জনগণের আস্থা কোনোদিনও এই নেতা পায় না। যদি পেতো তাহলে সে ২৮ তারিখের ডাকে সাড়া দিত। ১০ ডিসেম্বর থেকে খালেদা জিয়া দেশ চালাচ্ছে, ১১ ডিসেম্বর তারেক জিয়া বিদেশ থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে চলে আসছে, এসব কত অবান্তর গুজবে গুঞ্জনে বাংলাদেশের বাতাস ভারী হয়ে গেছে। সেই গুজব গুঞ্জন এখনো চলছে। এসব আমরা এসব বিশ্বাস করি না। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ এবং অনড়, শক্তিশালী অবস্থানে আমরা পাহাড়ের মত। হিমালয়ের মতো অবিচল। আমাদের অবস্থান শক্ত ও শক্তিশালী।
বিএনপি একটা ডামি দল
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি হলো একটা ডামি দল। বাংলাদেশে প্রথম কিংস পার্টি বিএনপি জন্মগতভাবেই গণতন্ত্র হত্যাকারী নির্বাচন বিরোধী দল।
দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চলছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় বিপুল জনসাধারণের উপস্থিতি প্রমাণ করে ৭ জানুয়ারি জনতার জয় হবে। আমরা নির্বাচনমুখী তৎপরতায় প্রচার প্রচারণা শুরু করেছি উৎসবমুখর পরিবেশে। নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় টুকটাক সমস্যা হচ্ছে, তবে মেজর কোনো সমস্যা নেই।
গুপ্ত হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সব গুপ্ত হামলা বন্ধ করুন, তা না হলে দেশের জনগণ ধরে ধরে বিচার করবে, জনগণই প্রতিহত করবে। জনগণ নির্বাচনের দিকে আর আপনারা নির্বাচন বন্ধ করতে চান। সেই খায়েশ আপনাদের পূরণ হবে না।
এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপপ্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন, তারানা হালিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।