এস কে হাসান ::
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় ফ্যানের হুকের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ১০ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার গভীর রাতে কুল্যা গ্রামের আব্দুস সালামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্কুলছাত্রী সোহানা খাতুন (১৫) কুল্যা গ্রামের আব্দুস সালামের কন্যা ও বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাতে নিহত সোহানা ও তার বড় বোন প্রিয়া খাতুন খাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল ৯-১০ টা বেজে গেলেও ছোট বোন সোহানা খাতুন ঘুম থেকে না ওঠায়, প্রিয়া ছোট বোনের ঘরে গিয়ে ডাকতে থাকে। ছোট বোন দরজা না খুললে দরজার ফাঁক দিয়ে দেখে গলায় ওড়না পেচানো ছোট বোনের ঝুলন্ত মরদেহ। এ সময় তার চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা ছুটে আশে এবং থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করেন ।
কুল্যা ইউপি সদস্য আব্দুল মাজেদ গাজী বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে দরজার ফাঁক দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় সোহানা খাতুনকে দেখতে পাই। তখন আমরা থানা পুলিশকে খবর দেয় এবং পুলিশ এসে লাশ নামায়।
আশাশুনি থানার এসআই ইমরান হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন প্রাথমিক অবস্থায় লাশের সুরতাহাল শেষ করেছি । সে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
##