বিশেষ প্রতিনিধি :
ভয়েস অব সাতক্ষীরা ডটকমসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের দু’দিনের মধ্যেই সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুর রহমান বদলি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটায় বদলি করা হয়। তার বদলির আদেশে সন্তোষ ও মহাপরিচালকের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সদর উপজেলার শিক্ষক-কর্মচারিরা। তার বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। টানা ৭ বছর তিনি রাজনৈতক ছত্রছাওয়ায় একই কর্মস্থলে কর্মরত ছিলেন। শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্য করে তিনি কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তিনি শিক্ষকদের নানা ভাবে ঝামেলায় ফেলে তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাজাহান কবির জানান, জাহিদুর রহমানকে খুলনার বটিয়াঘাটায় বদলি করা হয়েছে। আর বটিয়াঘাটার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নারায়ন চন্দ্রকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত,গত ২২ জানুয়ারি ‘‘ শিক্ষককে জিম্মি করে ঘুষ নেন শিক্ষা কমকর্তা’’ শিনোমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর জেরে দু’দিনের মধ্যে তাকে বদলি করা হয়।
এদিকে,জাহিদুর রহমানকে বদলির খবরে উল্লাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা। তবে তাকে বদলির মতো ন্যুনতম শাস্তিতে ক্ষোভ জানিয়েছেন কেউ কেউ। দুর্নীতিবাজ এই শিক্ষা কর্মকর্তার পাহাড় পরিমান সম্পদের উৎস কোথায় তা খুঁজে বের করার দাবি শিক্ষকদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌরসভার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক জানান,‘‘ ৭টি বছর ধরে রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে শিক্ষকদের জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন জাহিদুর রহমান। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় আমরা মনে করেছিলাম,সাময়িক বরখাস্ত করে তাকে বিভাগীয় মামলার মুখোমুখি করা হবে। কিন্তু বদলির মতো সাধারণ একটা ব্যাপার ঘটাতে আমরা খুশি হতে পারছিনা।’’
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাফরউল্লাহ বলেন,‘‘জাহিদুর রহমানের মতো শিক্ষাদস্যু বদমেজাজী কর্মকর্তা সদর উপজেলা থেকে সরে গেলো। এতে আমরা উল্লসিত। তার অহরহ দুর্ব্যবহারের মুখে আমাদের পড়তে হবেনা। মহাপরিচালক মহোদয়কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ’’
বদলী হওয়া শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান,‘‘ মাউশি আমাকে বদলি করেছে। মন্তব্য করার কিছু নেই।’’