নাজমুল আলম মুন্না ::
সাতক্ষীরায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি ২০২২ অবহিতকরণ এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আয়োজনে এবং সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় মুখ্য আলোচক জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (উপ সচিব) মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে একটি শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভুত হয়ছে। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে কাজ করছেন তার সুযোগ্য উত্তরসুরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সূদুরপ্রসারী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন অদম্য এক সাহসের গল্প। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত বাংলাদেশ গঠন এখন স্বপ্ন নয় বাস্তবতা। অপরদিকে প্রায় ১৭ কোটির বাংলাদেশ এখন ভেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালের সুবিধা ভোগ করছে। ভেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড হলো কোন দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যার অর্থাৎ ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী জনসংখ্যার আধিক্য। যখন এই কর্মক্ষম জনসংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বেশি থাকে, তখন ঐ দেশ ডেমোগ্রাফিক বোনাসকালে অবস্থান করছে বলে ধরা হয়। মনে করা হয়, এ জনসংখ্যা কোন না কোনভাবে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহর করে, যা দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখে। ইউএনডিপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে এ দেশের কর্মক্ষম জনশক্তি ১০ কোটি ৫৬ লাখ, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশ। ২০৩০ সালে দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা আরও বেড়ে দাঁড়বে ১২ কোটি ৯৮ লাখে। আর ২০৫০ সালে এ সংখ্যা দাঁড়বে ১৩ কোটি ৬০ লাখে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশ ভেমোগ্রাফিক ডিভিটেন্ডের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে দ্রুত কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে সক্ষম হবে। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম। মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিবুল আলম, জেলা তথ্য অফিসার মোঃ জাহারুল ইসলাম, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম প্রমুখ। কর্মশালায় অংশগ্রহন করেন জেলার সকল সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দগণ।