ডেস্ক রিপোর্ট ::
রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক, পত্রদূতের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি। লায়লা পারভীন সেঁজুতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ স ম আলাউদ্দীনের কন্যা। তালা উপজেলার মিঠাবাড়ী গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতা স ম আলাউদ্দীন ছিলেন সাতক্ষীরার উন্নয়নের রূপকার ও সাবেক প্রাদেশিক পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য। ১৯৯৫সালের ২৩ জানুয়ারি দৈনিক পত্রদূত পত্রিকাটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৬ সালের ১৯ জুন দৈনিক পত্রদূত অফিসে কর্মরত অবস্থায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনি নিহত হন। যার বিচার আজও হয়নি। পিতার মৃত্যুর পর বহু ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে নিজের জীবন বাজি রেখে তিনি তার রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। পিতৃহত্যার বিচার চেয়ে সাতক্ষীরা বাসিকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। পিতার রাজনৈতিক শুন্যতা পুরন করতে সাতক্ষীরা মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় নেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন তিনি। তার পিতার জীবদ্দশায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত করেন বঙ্গবন্ধু পেশাভিত্তিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সেখানে লায়লা পারভীন সেঁজুতি শিক্ষকতা পেশায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি সব সময় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে বেশ আলোচনায় আসেন। একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ (তালা কলারোয়া) আসন থেকে মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন। অবশেষে সাতক্ষীরা থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। বুধবার সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য হিসাবে মনোনিত হন তিনি। এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ স ম আলাউদ্দীনের কন্যা লায়লা পারভিন সেঁজুতিকে এমপি মনোনীত করায় সাতক্ষীরা বিভিন্ন উপজেলায় আনন্দ মিছিল মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।