ডেস্ক রিপোর্ট ::
বাজরে পর্যাপ্ত শীতকালীন সবজি উঠেছে। পর্যাপ্ত সবজি উঠলেও দীর্ঘ দিন দর ছিল চড়া। দাম না কমায় ভোগান্তিতে ছিল নি¤œ আয়ের মানুষ। কিন্তু বর্তমান বাজারে সবজির দাম কমতে শুরু করেছে।
গত সপ্তাহের তূলনায় দাম কমেছে। বাজারে গত সপ্তাহে ফুলকপি কেজি প্রতি ২০টাকা, বর্তমান ২৫টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, বর্তমান ৩০ টাকা, শিম ২৫টাকা, বর্তমান ২০টাকা, ওলকপি ২০টাকা, বর্তমান ২০টাকা, বাঁধাকপি ৩০টাকা, বর্তমান ১৫টাকা, লালশাক আটি ৫টাকা, বর্তমান ৬টাকা, কলা ৩০টাকা, বর্তমান ২০টাকা, মেটেআলু ৪০টাকা, বর্তমান ৬০টাকা, বরবটি ১৫টাকা, বর্তমান ১৫টাকা, পালংশাক ৭টাকা, বর্তমান ৭টাকা, ঢেঁড়স ৩০টাকা, বর্তমান ৩০টাকা, নতুন আলু ৫০টাকা, বর্তমান ২৫টাকা, কাঁচা ঝাল ৬০টাকা, বর্তমান ৫০টাকা, টমোটো ৩০টাকা, লালবিট ২০টাকা, কুমড়া ৩০টাকা, গাজর ২৫টাকা, মূলা ২০টাকা, পেপে ২০ টাকা, পটল ১৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একধরনের অসাধু সিন্ডিকেট সাধারণ মানুষের মাংসের চাহিদা পূরণের একমাত্র ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম বৃদ্ধি করে চলেছে দীর্ঘদিন যাবত। শুক্রবার সাতক্ষীরা বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার গত সপ্তাহে কেজি প্রতি ২১০টাকা, বর্তমান ২০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালী গত সপ্তাহে ২৭০টাকা বর্তমান ২৭০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ অনেক জায়গায় গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬০০টাকা বিক্রি হলে সাতক্ষীরা বাজারে ৭০০টাকা, খাসির মাংস ৯০০টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। মাছের দাম কিছুটা কম দেখা গেছে বাজার ঘুরে, তেলাপিয়া গতসপ্তাহে কেজি প্রতি ৮০টাকা, বর্তমান ৮০টাকা, নাইলোটিকা গত সপ্তাহে ১১০টাকা, বর্তমান ১২০ টাকা, কই গত সপ্তাহে ২২০টাকা, বর্তমান ২০০টাকা, রুই ২৩০টাকা, বর্তমান ২১০টাকা, পাঙ্গাস গত সপ্তাহে ১৭০টাকা, বর্তমান ১৪০টাকা, সিলভার কার্প গত সপ্তাহে ১২০টাকা, বর্তমান ১২০টাকা, পুটি গত সপ্তাহে ১৬০টাকা, বর্তমান ১৪০টাকা, পারশে গত সপ্তাহে ৪৫০টাকা, বর্তমান ৩৮০টাকা, ভেটকি ৬০০টাকা, বর্তমান ৫৫০টাকা, ভাঙ্গান ৫৭০টাকা, বর্তমান ৫৫০টাকা, পায়রা ৫০০টাকা, ছাটি ৬০০টাকা থেকে ১২০০টাকা, টেংরা ৩০০টাকা, পাবদা ২৫০টাকা, বোতল ২০০টাকা, হরিনা চিংড়ী ৫০০টাকা, বর্তমান ৫৫০টাকা, মিরগেল ১৪০টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি বাজারে গত সপ্তাহে চাল সর্বনিম্ম আটাশ ৫৮টাকা, বর্তমান ৫৭টাকা, সর্বোচ্চ মিনিকেট ৫৯টাকা, বর্তমান ৬২টাকা, মশুর ডাল মোটা কেজি প্রতি গত সপ্তাহে ১১৫টাকা, বর্তমান ১০৫টাকা, চিকন ১৪৫টাকা, বর্তমান ১৪০টাকা, বুট ডাল ৬০টাকা, বর্তমান ৬৮টাকা, মুগ ডাল চিকন ১৬২টাকা, বর্তমান ১৬৫টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেল ভালোটা গত সপ্তাহে কেজি প্রতি ১৬৬টাকা, বর্তমান ১৬৫টাকা, নরমাল ১৪০ টাকা, বর্তমান ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরিষা তেল কেজি প্রতি ২০০টাকায় বর্তমান ১৬০টাকা বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের দামে।
মসলা জাতীয় খাদ্যর দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা কমেছে পেয়াজ গত সপ্তাহে কেজি প্রতি ১০৫টাকা, বর্তমান ১০০টাকা, রসুন দেশি কেজি প্রতি ২৫০টাকা, বর্তমান ২৫০টাকা, নতুন রসুন ১৩০টাকা, বর্তমান ১৪০টাকা, আদা ১৯০টাকা, বর্তমান ১৮০টাকা, শুকনা ঝাল গত সপ্তাহে ৪৬০টাকা বর্তমান ৪০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা আহসান কবির জানান, দ্রব্যমূল্য উর্দ্ধগতি নি¤œ আয়ের মানুষ খুবই বিপাকে পড়েছে। এই উর্দ্ধগতির বাজারে লোকাল সিন্ডিকেট করে একধরনের অসাধু সিন্ডিকেট দাম বাড়াচ্ছে। সঠিক মনিটরিং যদি থাকত নি¤œ আয়ের মানুষের ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।
অসংখ্য সাধারণ নি¤œ আয়ের মানুষ এই সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। ক্রয় ক্ষমতার বাইরে গিয়েও বেঁচে থাকার তাগিদে কিনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা দিয়ে দ্রব্যমূল্য। সঠিক বাজার মনিটরের অভাবে এই কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চলছে মানুষরুপী জানোয়াররা। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর তৎপরতা বাড়ালে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বাজার দর-এটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।