স্টাফ রিপোর্টার :
কপিলমুনির লোহা ব্যবসায়ী পঙ্কজ কর্মকার ও তার ছেলে রামপ্রসাদ কর্মকার কর্তৃক মিথ্যা জিডি-মামলা, অব্যাহত হুমকি ও ষড়যন্ত্র থেকে রেহাই চান লোহাপট্টির ব্যাবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা ওই পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৫ টায় কপিলমুনি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন। লোহা ব্যবসায়ী ষষ্ঠী কর্মকার, গৌর কর্মকার, প্রকাশ কর্মকার, গণেশ কর্মকার, শৈলেন কর্মকার, ভোলা কর্মকারসহ অনেকে তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনেন।
লিখিত অভিযোগে লোহা ব্যবসায়ীরা বলেন, পঙ্কজ কর্মকার ও তার ছেলে রামপ্রসাদ কর্মকার সপ্তাহের সব দিন দোকান খুলে তারা ব্যবসা পরিচালনা করলেও আমাদের মাত্র সপ্তাহের রবিবার ও বৃহস্পতিবার ছাড়া দোকান খুলতে দিচ্ছে না। অন্যদিন দোকান খুললে পিতা পুত্রের অশ্রাব্য গালিগলাজ সহ নানা নির্যাতন, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা মামলার শিকার হতে হচ্ছে। অধিক লাভের আশায় সম্পূর্ণ গায়ের জোরে লোহাপট্টিতে এমনটি করছেন পঙ্কজ কর্মকার ও তার ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো জানান, পঙ্কজ কর্মকারের এমন আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় পঙ্কজ কর্মকার ও তার ছেলে রামপ্রসাদ ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লোহা ব্যবসায়ী গৌর কর্মকারের গলায় ধারালো দা ঠেকায়। এ সময় গৌর কর্মকারের চিৎকারে আশেপাশের ব্যবসায়ীরা এসে তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় গৌর কর্মকার গত ১১/৮/২৩ ইং তারিখে পঙ্কজ ও তার ছেলে রামপ্রসাদ সহ ৩ তিনজনের বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন, ডায়েরি নং ৫৬৪। ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ওই ঘটনা তদন্তে সত্যতা মিললেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বরং পঙ্কজ কর্মকারের ছেলে রামপ্রসাদ কর্তৃক ৪ নিরীহ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা জিডি করে নিয়মিত মামলায় রুপ দেওয়া হয়েছে, জিডি নং ৮১৭, তারিখ ১৬/৮/২৩ ইং। পঙ্কজ কর্মকার জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুজিত ঘোষকে প্রভাবিত করে তদন্ত তাদের অনুকূলে নেয়।
লিখিত বক্তব্যে প্রকাশ কর্মকার বলেন, মিথ্যা জিডির ঘটনায় বিজ্ঞ আদালত আমাদের জামিন দেওয়ার পর পঙ্কজ ও তার ছেলে আমাদেরকে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দেওয়া সহ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। পিতা-পুত্রের নির্যাতন, মিথ্যা মামলা ও অব্যাহত ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রেহাই পেয়ে যাতে লোহা পট্টিতে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারি তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা অফিসার ইনচার্জের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।